Asansol: জোড়া ডেপুটি মেয়র! বিতর্ক জিইয়ে রেখেই সাড়ে ৩ মাস পর পাঁচজন দফতরহীন মেয়র পরিষদ ঘোষণা
Asansol: তবে এরপরও পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করতে পারল না পুরসভা। কারণ এখনও ডেপুটি মেয়র এবং বোরো চেয়ারম্যান পদগুলি ফাঁকাই রয়েছে।
আসানসোল: সাড়ে তিনমাস পর একসঙ্গে পাঁচজন কাউন্সিলরকে মেয়র পারিষদে বসালো আসানসোল পুরসভা। বৃহস্পতিবার পুরসভার আসানসোল সদর দফতরে জামুড়িয়ার সুব্রত অধিকারী, রানিগঞ্জের দিব্যেন্দু ভকত, আসানসোল উত্তরের গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল দক্ষিণের মানস দাস এবং কুলটির ইন্দ্রানি চ্যাটার্জি মিশ্রকে মেয়র পারিষদ পদে শপথ বাক্য পাঠ করান মেয়র বিধান উপাধ্যায়। যদিও, কাউকে আজ কোনও দফতর দেওয়া হয়নি ।
তবে এরপরও পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন করতে পারল না পুরসভা। কারণ এখনও ডেপুটি মেয়র এবং বোরো চেয়ারম্যান পদগুলি ফাঁকাই রয়েছে। যদিও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিজিৎ ঘটক এবং ওয়াসিমূল হক এই দু’জনকে ডেপুটি মেয়র পদে বসানোর কথা ঘোষণ করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, দু’জন ডেপুটি মেয়র চেয়ে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই ফাইল আটকে রয়েছে।
আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জি জানান, ‘তৃণমূলকে হেনস্থা করতেই রাজ্যপাল ফাইল আটকে দিয়েছেন। বিরোধীদের উচিত এ বিষয়ে সরব হওয়া।’ অন্যদিকে, মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘খুব শীঘ্রই অন্য পদগুলিও পূরণ করা হবে।’ বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারির কটাক্ষ, ‘আদালতের ধমক খেয়ে শেষ পর্যন্ত ইন্সটলমেন্টে মেয়র পরিষদ দিতে হচ্ছে আসানসোলে।এটাই লজ্জার। দুইজন ডেপুটি মেয়র শহরবাসীর জন্য নয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাবার জন্য। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শিকার হচ্ছেন আসানসোলের বাসিন্দারা।’
এর আগে মেয়রের হাতে একাধিক দফতর ছিল। তাতেও আট জন মেয়র পারিষদ ছিল। সেক্ষেত্রে যদি ঠিকঠাক দফতর বন্টন করা হয় সংখ্যাটা হওয়া উচিৎ দশ থেকে এগারো। এর পাশাপাশি ১০৬ ওয়ার্ডের জন্য দশটি বোরো রয়েছে। ফলে অন্তত দশটি বোরো চেয়ারম্যানের নামও ঘোষণা করতে হবে সেই বিষয়টিও হয়নি।
বস্তুত, এর আগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। মেয়র শপথ নেওয়ার পর প্রায় তিন মাস হতে চলল। এখনও তৈরি হয়নি পুরবোর্ড। সে কারণে মেয়রের জরিমানার দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। মেয়রের কাছে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দাবি করে এই মামলা দায়ের করেন তিনি।
চৈতালি তিওয়ারির অভিযোগ, মেয়র পারিষদ তৈরির একটা সময়সীমা আছে। দিনের পর দিন বোর্ড গঠন না হওয়া মানে, সাধারণ মানুষকেও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রাখা। মানুষের ভোটে জিতে এভাবে তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না। তাই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।