Boy Stabbed: বাড়িতে বাড়িতে দুধ দেয়, হঠাৎই দাদার কাছে ফোন, ‘তোর ভাইকে তো’… শুনেই শিরদাঁড়ায় হিমেল স্রোত বয়ে গেল

Boy Stabbed:আক্রান্ত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বহু বাড়িতেই দুধ দেন দিলীপ। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িতে মোটা টাকাই বাকি রয়েছে।

Boy Stabbed: বাড়িতে বাড়িতে দুধ দেয়, হঠাৎই দাদার কাছে ফোন, 'তোর ভাইকে তো'... শুনেই শিরদাঁড়ায় হিমেল স্রোত বয়ে গেল
আসানসোলে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 8:49 PM

পশ্চিম বর্ধমান: দুধ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ধারে। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দুধ বিক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে ওই যুবককে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল আসানসোলে। আহত ওই যুবককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দিলীপ যাদব নামে ওই দুধ বিক্রেতা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ দিয়ে আসেন। আসানসোল উত্তর বিধানসভার মধ্যে পড়ে রেলপারের ওকে রোড এলাকা। সেখানে দুধ দেন তিনি। রবিবার স্থানীয় জিকরা মসজিদের ঠিক পিছন দিকে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ, দিলীপ দুধের বকেয়া দাম চাইতে গিয়েছিলেন। এরপরই বেশ কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে হামলা চালান। গলায়, পেটে কোপাতে থাকেন ছুরি দিয়ে। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় বাড়িতেও। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দিলীপকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এভাবে হামলা চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দিলীপের দাদা জানান। একইসঙ্গে কন্যাপুর ফাঁড়িতেও জানিয়েছেন তিনি।

আক্রান্ত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বহু বাড়িতেই দুধ দেন দিলীপ। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িতে মোটা টাকাই বাকি রয়েছে। সেই টাকা চাওয়ায় আগেই খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রেলপার এলাকায় একদল যুবক মাদকের আড্ডা নিয়ে বসে। যার জেরে খুব ছোটখাটো কিছু থেকেও বড় হিংসার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাঁর বক্তব্য এই দুধ বিক্রেতার উপর হামলাও এ কারণেই ঘটেছে।

দিলীপ যাদবের ভাই দীননাথ যাদব বলেন, “১০টা নাগাদ আমি বাড়ি ফিরি। এরইমধ্যে একজন ফোনে জানান, অস্ত্র দিয়ে ভাইকে গলায়, পেটে, গালে কোপানো হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যেতে বলেন। ফোন পেয়েই পড়ি কী মরি করে মা, বউকে নিয়ে আমি বেরিয়ে যাই। আমি ঘটনাস্থলে না গিয়ে সোজা হাসপাতালে যাই। ওখানকার লোকজন ভাইকে তুলে নিয়ে ততক্ষণে হাসপাতালে চলে যায়। এক চাচা খুব সহযোগিতা করেছেন। কিছুদিন আগেই ভাই বলেছিল, ওকে কয়েকজন অনুসরণ করছিল। কয়েকটি বাড়িতে দুধ নিয়েছিল। কিন্তু দুধের দাম দেয়নি। বলতে গেছিল ভাই, তাতে পাল্টা বলেছে ‘টাকা দেব না। মেরে দেব তোকে’। এটার জন্য এই ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। পুলিশকে সবটা জানানো হয়েছে।”