Anubrata Mondal: ঘুম ভাঙল ৮টা পার করে, তর্পণ সেরে চোখ রাখলেন টিভিতে, গারদে অন্য মহালয়া অনুব্রতর

Anubrata Mondal: সংশোধনাগার সূত্রে খবর, একটা সময় আকাশবাণীতে মহিষাসুরমর্দিনী শোনার তাগিদ দেখা যেত বন্দিদের মধ্যে। ভোরেই চালিয়ে দেওয়া হতো রেডিয়ো।

Anubrata Mondal: ঘুম ভাঙল ৮টা পার করে, তর্পণ সেরে চোখ রাখলেন টিভিতে, গারদে অন্য মহালয়া অনুব্রতর
জেলে অনুব্রত মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 7:14 PM

পশ্চিম বর্ধমান (আসানসোল): গত বছরও মহালয়ার ভোরে উঠে তর্পণ সেরে মুখে জল তুলেছেন বীরভূমের দাপুটে ‘কেষ্ট’। তারপর জনসংযোগ। পুজোর চারটে দিন কত না ব্যস্ততা। নীচুপট্টির বাড়িতে বসে থেকেছেন। দলীয় কর্মীরা এসে হাজির হয়েছেন। প্রয়োজনমতো তিনিও এদিন ওদিক যান। সেই অনুব্রত মণ্ডল এখন গরাদের পিছনে। রবিবার মহালয়ার ভোরের আলো এসে পৌঁছেছে সেখানেই। প্রেতপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনায় রবিবার ভোরে যখন জগতে আনন্দযজ্ঞ চলছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তখন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে।

সংশোধনাগার সূত্রে খবর, মহালয়ার দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘুম ভাঙে অনুব্রত মণ্ডলের। ঘুম থেকে উঠেই স্নান সারেন। সংশোধনাগারচত্বরে সারেন তর্পণ। এই সংশোধনাগারে প্রতিটি সেলে টেলিভিশন রয়েছে। মহালয়ার ভোর থেকে সেখানে টিভি চালু করে দেওয়া হয়। চ্যানেলে চ্যানেলে মহালয়ার অনুষ্ঠান। একটু বেলা করে হলেও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি চোখ রাখেন টিভির পর্দায়।

সংশোধনাগার সূত্রে খবর, একটা সময় আকাশবাণীতে মহিষাসুরমর্দিনী শোনার তাগিদ দেখা যেত বন্দিদের মধ্যে। ভোরেই চালিয়ে দেওয়া হতো রেডিয়ো। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠ কান খাড়া করে শুনতেন আবাসিকরা। এখন প্রায় প্রতিটি সেলেই টেলিভিশন সেট রাখা আছে। ফলে ভোরে উঠে রেডিয়ো শোনার তাগিদ এখন কিছুটা কম বলেই সংশোধনাগার সূত্রে খবর। তবে এবার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ টিভি, রেডিয়ো দু‌ইয়েরই আয়োজন করেছিল অনুব্রত মণ্ডলের জন্য। রেডিয়োর খোঁজ করেন জেলবন্দি ‌ ইসিএলের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকও।

উল্লেখ্য, সংশোধনাগারের বর্তমান সুপার কৃপাময় নন্দী শিলিগুড়ি সংশোধনাগারে পুজো শুরু করানোর রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু আসানসোলে তা সম্ভব হল না নিরাপত্তার কারণে। সংশোধনাগারে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও এই মুহূর্তে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি, ইসিএলের আট শীর্ষ আধিকারিকও। তুলনায় রক্ষী সংখ্যা নগন্যই। বহু পোস্ট ফাঁকা। এই অবস্থায় পুজোর আয়োজনে রক্ষীরা মেতে উঠলে সংশোধনাগারের নিরাপত্তায় বড় ফাঁক সৃষ্টি হতে পারে।