Mamata Banerjee: ধান বুনতেন, কাটতেন, সেই ধান বিক্রি করে কিনতেন আলুর চপ! জানুন মমতার ছোট্টবেলার গল্প

Mamata Banerjee Childhood memories: বুধবার দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নিজের ফেলে আসা জীবনের সেই ইতিহাসের কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee: ধান বুনতেন, কাটতেন, সেই ধান বিক্রি করে কিনতেন আলুর চপ! জানুন মমতার ছোট্টবেলার গল্প
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 4:02 PM

দুর্গাপুর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বহুমুখী প্রতিভার কথা এখন আর কারও অজানা নয়। রাজ্যপাট চালানোর পাশাপাশি মাঝে মধ্যে ছবিও আঁকেন তিনি। তাল-ছন্দ বোধও ভাল। কবিতা লিখতে পছন্দ করেন। বেশ কয়েকটি কবিতার বইও আছে তাঁর। এছাড়া তাঁর বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শিতার কথা নিজ-মুখেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সব কাজকর্ম চালানোর পাশাপাশি এত কিছু নেহাৎ মুখের কথা নয়। আর এবার নিজের ছোটবেলার আরও এক কাহিনী শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাবতে পারেন? মুখ্যমন্ত্রীও নাকি এককালে ধান বুনতেন। গ্রামের বাড়িতে নিজের হাতে ধান পুঁততেন, ধান কাটতেন মমতা। বুধবার দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নিজের ফেলে আসা জীবনের সেই ইতিহাসের কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুর্গাপুরের ওই বৈঠক থেকে প্রশাসনিক স্তরে কীভাবে জনসংযোগ আরও উন্নত করা যায়, সেই পাঠ দিচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামে গ্রামে যাওয়ার কথা বলছিলেন। মাঠে যখন কৃষকরা কাজ করেন, সেই সময় তাঁদের সঙ্গে ট্রাক্টরে হাত লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন। জনসংযোগ বাড়ানোর স্বার্থে, তাঁদের সঙ্গে থেকে ধান কাটার কথাও বলেন। প্রশ্ন করেন, বিধায়করা সবাই ধান কাটতে পারেন কিনা… সেই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমরা কি জানো? আমি ধান পুঁততে পারি, ধান কাটতেও পারি।”

মমতা বলেন, “আমাদের প্রত্যেকেরই গ্রামে কোথাও না কোথাও একটা বাড়ি আছে। যদি লখনউতেও কেউ থাকেন, তাঁরও একটা গ্রাম আছে। আমারও একটা গ্রাম ছিল, এখনও আছে। আমিও ধান কাটতে পারি, ধান পুঁততে পারি। সবার থেকে ভাল ধান পুঁতে দেব। সবার থেকে ভাল ধান কেটেও দেব।” কীভাবে ধান কাটা শিখলেন মমতা? সেই কাহিনীও শোনালেন প্রশাসনিক বৈঠকে। বললেন, “শীতকালে মামার বাড়ি যেতাম। ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা। কিন্তু শুনতে ভাল লাগবে। চাষিরা ধান কাটতেন। সেই ধান কিছুটা ফেলে রেখে যেতেন। সব ধান পুরো কাটতেন না। যে ধান পড়ে থাকত সেগুলো আমরা কুড়োতাম। সেটা কুড়িয়ে আমরা ধানগুলো জমাতাম। এরপর কেউ আলুর চপ বিক্রি করতে আসত, কেউ চুড়ি, ফিতে বিক্রি করতে আসত। ওই ধানটা দিয়ে আমরা ওইগুলো কিনতাম। বুঝলেন কিছু? গ্রামে আগে ধান দিয়ে জিনিস পাওয়া যেত দোকানে।”