Road Accident: সাধ ছিল পছন্দ করে ঘরে জামাই আনবেন, কপাল যে এত নিষ্ঠুর কে জানত…
Asansol: রবিবার বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জামুড়িয়া থানার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেনালি মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
পশ্চিম বর্ধমান: মেয়ে বড় হয়েছে। তাকে সুপাত্রস্থ করার চিন্তা মায়ের মনে সবসময়। মা নিজেই যাচ্ছিলেন মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে। যাওয়ার পথেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ভয়ঙ্কর পথদুর্ঘটনা প্রাণটাই কেড়ে নিল ৪৬ বছরের একাদশী গোস্বামীর। রবিবার বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় জামুড়িয়া থানার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেনালি মোড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এই জাতীয় সড়কের উপর ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই খারাপ। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিন তারই প্রতিবাদে রাস্তায় অবরোধে নামে এলাকার লোকজন। পরে জামুরিয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই দুর্ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
একাদশী গোস্বামীর বাড়ি সালানপুরে। সালানপুর জোড়বাড়ি এলাকার বাসিন্দা একাদশী গোস্বামী। রবিবার সকালে স্বামী অনিল গোস্বামী ও ভগ্নিপতি অনিল দাসকে নিয়ে জামুড়িয়া যান। বেনালি ব্রাহ্মণপাড়ায় মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ফেরার পথে অনিল দাসের বাইকের পিছনে বসেন একাদশী। অন্য একটি বাইকে ছিলেন তাঁর স্বামী। বেনালি মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে আসানসোলগামী লেনে বাইক উঠতেই দুর্গাপুরের দিক থেকে আসা একটি চার চাকার গাড়ি ধাক্কা মারে।
ছিটকে পড়েন অনিল দাস ও একাদশী গোস্বামী। ছুটে আসেন স্থানীয়রা। দু’জনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে একাদশী গোস্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় অনিল দাসকে। পরে চার চাকার গাড়িটিকে নিঘা মোড়ের কাছে আটক করে পুলিশ। এদিকে এই দুর্ঘটনার পরই বেনালি এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার মাঝে থাকা ডিভাইডার তুলে নেওয়ার দাবি করে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা লোকজন কোনও নজরদারি চালায় না। সিভিক ভলান্টিয়াররা দায়িত্বে থাকেন। নিয়মিত দুর্ঘটনাও ঘটে চলেছে। খবর পেয়ে যান ট্রাফিক পুলিশের এসিপি প্রদীপ মণ্ডল ও জামুরিয়া থানার রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। তাঁরা বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।