Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC Leader Arrested: ক্যাটারার কর্মীর মারে মৃত্যু, গ্রেফতার স্থানীয় তৃণমূল নেতা

Asansol: বাজেপ্রতাপপুর থেকে বাগডিহায় পিসির বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন রবি (২৯)। শুক্রবার সকলের সঙ্গে খেতে বসেন রাতের দিকে। কিন্তু ক্যাটারারের ছেলেরা সে সময় খাবার দিতে চাননি বলে অভিযোগ।

TMC Leader Arrested: ক্যাটারার কর্মীর মারে মৃত্যু, গ্রেফতার স্থানীয় তৃণমূল নেতা
বিয়েবাড়িতে যুবকের মৃত্যু। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2022 | 12:14 AM

পশ্চিম বর্ধমান: ক্যাটারারের ছেলের হাতে মার খেয়ে জামুড়িয়ায় এক যুবকের মৃত্যু হয় শুক্রবার রাতে। এই ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম যদুপতি পাল। যদুপতি জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ, বর্তমানে তৃণমূলের অঞ্চল নেতা। অভিযোগ, সেদিনের ঘটনায় উসকানি দিয়েছিলেন এই যুবক। জামুড়িয়ার বাগডিহা গ্রামে শুক্রবার এক বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। অভিযোগ, রাত হয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্যাটারারের ছেলেরা খাবার দিতে অস্বীকার করেন। এদিকে তখনও অনেকের খাওয়া বাকি। এ নিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন আমন্ত্রিত রবি চৌধুরী নামে এক যুবক। বাজে প্রতাপপুরের ওই যুবক মারা যান। সেই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয় যদুপতিকে। বাগডিহারই পাশের গ্রামের বাসিন্দা তিনি। এলাকায় বেশ প্রভাবশালী বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাজেপ্রতাপপুর থেকে বাগডিহায় পিসির বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিলেন রবি (২৯)। শুক্রবার সকলের সঙ্গে খেতে বসেন রাতের দিকে। কিন্তু ক্যাটারারের ছেলেরা সে সময় খাবার দিতে চাননি বলে অভিযোগ। উল্টে বিয়ে বাড়িতে তুমুল বচসা শুরু হয়। মুহূর্তে তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। অভিযোগ, সেখানেই এক ক্যাটারের ছেলের মারে মারা যান রবি। রবি ছাড়াও ওই পরিবারের দু’ জন জখম হন। তিনজনকেই রাতে বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত রবির দিদি আশা ঘোষের অভিযোগ ছিল, “ক্যাটারার কর্মীদের মারেই আমার ভাই মারা গিয়েছে। খাবার দেওয়া নিয়ে শুরুতে একবার অশান্তি হয়েছিল। তারপর ঘরে ঢুকে ওই ছেলেগুলো আবার মারধর করে।”

তদন্তে নেমে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ যদুপতি পালকে গ্রেফতার করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ। অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা যদুপতি শুক্রবার রাতে উস্কানি দিয়েছিলেন। তৃণমূলের এই নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “কেউ যদি অন্যায় করে তাহলে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি যে দলেরই হোন না কেন বা যে পদেই থাকুন না কেন। কেউ ছাড়া পাবে না।” যদিও এ নিয়ে ধৃতের তরফে কারও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কেনই বা তাঁর বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তা স্পষ্ট নয়।