‘মমতাদি, ভ্যাকসিনের কাটমানি আপনার বাড়িতেও যায়, ক্ষমতা থাকলে তদন্ত করুন’, তোপ দিলীপের
ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে একরকম দায় এড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, সাংসদের থেকে খবর যেতেই পুরসভা পদক্ষেপ করেছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে সরব রাজ্য-রাজনীতি। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশি জালে ধরা পড়েছে দেবাঞ্জন দেব। ভুয়ো টিকাকরণের শিকার হয়েছেন খোদ তৃণমূলের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সেই টিকাকরণ নিয়ে এ বার সরব বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই (Mamata Banerjee) নিশানা করলেন বিজেপি নেতা।
১৯৭৫ সালে, আজকের দিনেই তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের আমলে ভারতবর্ষে চালু হয়েছিল জরুরি অবস্থা। ৪৬ বছর আগের সেই দগদগে স্মৃতিকে ‘কালোদিন’ বলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। টুইট করে সেই বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
The #DarkDaysOfEmergency can never be forgotten. The period from 1975 to 1977 witnessed a systematic destruction of institutions.
Let us pledge to do everything possible to strengthen India’s democratic spirit, and live up to the values enshrined in our Constitution.
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2021
1975 में आज ही के दिन कांग्रेस ने सत्ता के स्वार्थ व अंहकार में देश पर आपातकाल थोपकर विश्व के सबसे बड़े लोकतंत्र की हत्या कर दी। असंख्य सत्याग्रहियों को रातों रात जेल की कालकोठरी में कैदकर प्रेस पर ताले जड़ दिए। नागरिकों के मौलिक अधिकार छीनकर संसद व न्यायालय को मूकदर्शक बना दिया। pic.twitter.com/SvFmEXKYcn
— Amit Shah (@AmitShah) June 25, 2021
‘কালোদিন’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার খড়গপুরে একটি দলীয় সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে, বর্তমান তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে বলেন, “বাংলার মানুষ কুকুর ছাগল গিনিপিগ নয়। যখন যা ইচ্ছা টিকা দিয়ে মেরে দেবে! জালিয়াতির দৌড় এতদূর, যে সাংসদ গিয়ে হামের টিকা নিয়ে চলে এসেছে। আমার ধারণা ওই এলাকার মেয়র আর প্রশাসন এর সঙ্গে যুক্ত। মুখ্য়মন্ত্রীর দম থাকলে সিবিআই তদন্ত করা হোক। টিকা থেকেও কাটমানি খেয়ে সিন্ডিকেটরাজ চালিয়ে এই জাল টিকাকরণ চলেছে।”
কার্যত, ভুয়ো টিকাকরণ নিয়ে একরকম দায় এড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, সাংসদের থেকে খবর যেতেই পুরসভা পদক্ষেপ করেছে। ভারত সরকারের এমন কোনও নির্দেশ নেই, যে টিকাকরণের জন্য স্থানীয় পুরসভার অনুমতি নিতে হবে। ফলে, যাঁরা ওই কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন তাঁদের সকলের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অতীন ঘোষ।
শুক্রবার, দিলীপবাবু আরও বলেন, “বাংলায় এখন যে অবস্থা তাতে মনে হয়, কংগ্রেসের জরুরি অবস্থার থেকে খারাপ। হাজার হাজার লোককে বোকা বানাচ্ছেন। মমতাদি, আপনিও ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে যুক্ত। আপনিও কাটমানি খান। আপনারই মন্ত্রীরা এতে যুক্ত। বেআইনি ক্যাম্প চলছে ভ্যাকসিনের। বিজেপি নাকি ভাইরাস বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের জঙ্গলমহলে মায়েদের বোকা নিয়ে একমাস টাকা দিয়ে ভোট নিয়ে নিয়েছে। তারপর আর টাকা নেই। ভ্য়াকসিন দিয়ে টাকা তুলছেন নাকি! ওই টাকা আপনার কালীঘাটের বাড়িতেও যায়। আপনিও কাটনমানি খান। ক্ষমতা থাকলে তদন্ত করুন।”
শুক্রবার, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি রাজ্যর সম্পাদক তুষার মুখার্জী সহ অন্যান্য নেতারা। উল্লেখ্য, যাদবপুরের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চট্টোপাধ্যায় ভুয়ো টিকাকরণের সম্মুখীন হয়েছেন। কোভিশিল্ডের বদলে পেয়েছেন অ্যামিক্যাসিন। ভুয়ো স্বাস্থ্যকর্মী, ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র, ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব; সব মিলিয়ে আতঙ্কিত আমজনতা। আর এই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড নিয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্যর বিরোধী শিবিরগুলি।
আরও পড়ুন: ‘সাংসদ গিয়ে হামের টিকা নিয়ে আসছে, কে বিশ্বাস করবে সরকারকে!’, কটাক্ষ দিলীপের