Russian Engineer’s Body: খড়গপুরে উদ্ধার রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়রের দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ
Russian Engineer's Body: তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খড়গপুর: দিনকয়েক আগেই সুদূর রাশিয়া (Russia) থেকে খড়গপুরের (Kharagpur) রেশমি মেটালিক্সে গেস্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন এক ব্যাক্তি। খড়গপুরের সাহাচকে একটি গেস্ট হাউসেই থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকালে ঘরের ভেতর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। এরপর তড়িঘড়ি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির নাম গাটালিন রাসালান (Gataullin Ruslan)। বয়স ৬০। এ খবরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কথা বলা হচ্ছে রেশমি মেটালিক্সের কর্তাদের সঙ্গেও। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর ব্যাপারে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি পুলিশ জেলা পুলিশের আধিকারিকদের। তবে কীভাবে তাঁর দেহ নিজ দেশে পাঠানো হবে তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রেশমি মেটালিক্সের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যোগাযোগ করা হবে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে। তারপরই যাবতীয় প্রোটোকল মেনে তা পাঠানো হবে সে দেশে।
তা অসুস্থায় মৃত্যু আর খুনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত, গোয়েন্দা রিপোর্ট সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, “এক রাশিয়ান ভদ্রলোক মারা গিয়েছেন। আজ সকাল ৯টা ৯৪ মিনিটে ওনার দেহ হাসপাতালে আনা হয়। ততক্ষণে ওনার দেহে প্রাণ ছিল না। কীভাবে মারা গেল এখনই আমরা বলতে পারব না। আমাদের রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তারপরই দেহ রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”