Student Missing: সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইতেন, ২০ দিন আগে শেষ ফোন, তারপর…
Student Missing: টিউশন পড়তে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন অনুপম। থানায় থানায় ঘুরেও এরপর গত ২০ দিন ধরে কোনও ভাবেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মাকে ফোনে জানিয়েছিলেন টিউশন পড়তে যাচ্ছেন। তারপর থেকে আর খোঁজ নেই কলেজ ছাত্রের। ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁর সঙ্গে। রীতিমতো উৎকণ্ঠায় পরিবার। থানায় থানায় ঘুরে ছেলের খোঁজ না পেয়ে অবশেষে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল তাঁর পরিবার।
গত ১০ সেপ্টেম্বর পড়তে যাবেন বলে থেকে বেরিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অনুপম দে। এরপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পড়াশোনার জন্য মেসে থাকতেন অনুপম। সেখান থেকেই বেরিয়েছিলেন শেষবার। এরপর আর ফেরেননি।
অনুপমের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নারায়ণগড়ের মেটাল এলাকার বাসিন্দা অনুপম পড়াশোনার জন্যই মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি এলাকার একটি মেসে থাকতেন তিনি। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে বেলদার বাড়ি থেকে মেদিনীপুরের মেসে ফেরেন ওই যুবক। ১০ তারিখ ফোনে মায়ের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই অনুপমের ফোন বন্ধ। যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কোনও লাভ হয়নি।
সম্ভাব্য সব জায়গাতেই সন্ধান করা হয়েছে পরিবারের তরফে। কোথাও কোনও খোঁজ মেলেনি। নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে। মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানাতেও ডায়েরি করা হয়েছে। কোথাও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে পঞ্চমীর সকালে জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার।
নিখোঁজ ছাত্রের মা জানিয়েছেন, কলেজে পড়তে গিয়েই এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুপম। গত কয়েক মাস ধরেই নাকি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন তিনি। পরিবারকে সে কথা জানিয়েওছিলেন। মায়ের দাবি, যুবতীর পরিবার তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে থাকতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অনুপমের সেই প্রাক্তন প্রেমিকার পরিবার আগেও অপহরণ করেছিল। তবে সে বার পুলিশের দ্বারস্থ হননি তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে এতদিনে কেন ছাত্রের কোনও খোঁজ পাওয়া গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। কয়েকদিন আগেই বাগুইআটি-কাণ্ডে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য। অপহৃত দুই ছাত্রকে খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অপহরণের পর দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল হাড়োয়া থানা এলাকার বাসন্তী হাইওয়ে ও ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে। সেই ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।