Garhbeta: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মহিলা ওয়ার্ডের সিলিং, আহত ৭, প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের পরিকাঠামো
Paschim Medinipur: হঠাৎই সেই ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বরাত জোরে বড়সড় অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ওই ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা রোগীরা।

গড়বেতা : হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল হাসপাতালের সিলিং। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়ে গেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গরবেতা গ্রামীণ হাসপাতালে। সোমবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালে। ফলস সিলিং ভেঙে আহত হয়েছে এক শিশু সহ মোট সাত জন। সোমবার ওই দুর্ঘটনার সময় মহিলা ওয়ার্ডের ভিতরে ছিলেন প্রায় পঁচিশ জন। হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের ভিতরে কাঠের ফলস সিলিং ছিল। হঠাৎই সেই ফলস সিলিং ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বরাত জোরে বড়সড় অঘটনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন ওই ওয়ার্ডের ভিতরে থাকা রোগীরা।
রোগীর পরিজনদের একাংশের বক্তব্য, গড়বেতা গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ হচ্ছে না। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই যে সিলিং ভেঙে পড়ছে, এই বিষয়গুলি আগে থেকে দেখা দরকার। তাঁদের বক্তব্য, “হাসপাতালে এতজন রোগী ভর্তি রয়েছেন, একে তো তাঁরা অসুস্থ, তার উপর যদি হাসপাতালে দুর্ঘটনা ঘটে… বিষয়টি তো দেখা দরকার। আমরা চাই পরিকাঠামো আর একটু ভাল হোক।”
হাসপাতালের বিএমওএইচ সঞ্চিতা করর্মার জানিয়েছেন, “এই হাসপাতাল প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো। স্বাধীনতার পর পরই এই বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে টুকটাক মেরামতির কাজ হয়েছে। যে জায়গায় ফলস সিলিং ভেঙে পড়েছে, সেটি মহিলা ও শিশুদের ওয়ার্ড। মাস তিনেক আগেও ফলস সিলিং ভেঙে পড়েছিল কিছু জায়গায়। তখন আমাদের তরফ থেকে মেরামতের কাজও করা হয়েছিল। এক শিশুর ক্ষতি হতে পারত, কিন্তু তার পরিবারের লোকেরা তাকে গার্ড করে দেওয়ায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। তার মাথায় সামান্য আঘাত লেগেছিল। আমরা তার চিকিৎসা করছি। ওই ওয়ার্ডের রোগীদের আপাতত অন্য ওয়ার্ডে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
বিডিও ওয়াসিম রেজা জানিয়েছেন, মহিলা ওয়ার্ডের ফলস সিলিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”বহু পুরনো হাসপাতাল। আমরা বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছি জেলা প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ এগোচ্ছে।”





