Ghatal Flood Situation: চন্দ্রকোণার পরিস্থিতি ফিরলেও, ঘাটালে জম কমার কোনও সম্ভাবনাই নেই
Ghatal Flood Situation: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় নদীর জলস্তর অনেকটাই কমেছে। নদীর জল কমলেও চন্দ্রকোণার দুটি ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন।
পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রকোনায় (Chandrakona) বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। জলমগ্ন ঘাটাল (Ghatal) পৌরসভা ও ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। জলে ভাসছে ঘাটাল-চন্দ্রকোণা রাজ্যসড়ক (West Bengal Flood Situation)।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায় নদীর জলস্তর অনেকটাই কমেছে। নদীর জল কমলেও চন্দ্রকোণার দুটি ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। প্লাবিত এলাকাগুলি থেকে জল নামছে ধীরগতিতে।
জলের তলায় বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। চন্দ্রকোণায় বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক ও হাইওয়ে থেকে জল নেমেছে। অপরদিকে ঘাটাল ও দাসপুরে বন্যা পরিস্থিতির এখনই উন্নতির কোনও সম্ভাবনা নেই। ঘাটাল পৌরসভার ১৭ টির ১৫ টি ওয়ার্ড জলমগ্ন, ঘাটাল ব্লকের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ টি জলবন্দি। ঘাটালে যাতায়াতে এখন একমাত্র ভরসা নৌকা।
দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর ও নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এই নিয়ে চতুর্থ বার বন্যার কবলে ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা। দীর্ঘ জলবন্দি অবস্থায় থেকে চরম দুর্ভোগে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা।পানীয় জল, যাতায়াত, নিত্যদিনের কাজকর্ম থেকে ব্যবসায়ীদের ব্যবসারও প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানা যায়। যদিও প্রশাসনের তরফে দুর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে আরও কিছুটা কমানো হল জল ছাড়ার পরিমাণ। শনিবার রাত দশটায় ছাড়া হয়েছে ১,২৬,২০০ কিউসেক জল ।
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও কিছুটা কমানো হল। শনিবার সকালে ছাড়া হচ্ছিল ১,৫৫,৪০০ কিউসেক জল। বেলায় আরও কিছুটা কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ। ১,৪৬,৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। পরে আরও কমানো হয় জল ছাড়ার পরিমাণ।
শনিবার দুপুরে ছাড়া হয় ১,৩৬,২০০ কিউসেক জল। শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছিল ১,২৯,৭০০ কিউসেক জল। রাত দশটা থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,২৬,২০০ কিউসেক জল। নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে দফায় দফায় কমানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ । শনিবার সন্ধ্যেয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,২৬,২০০ কিউসেক জল ।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে বৃষ্টি না হলে ধীরে ধীরে আরও কমানো হবে জল ছাড়ার পরিমাণ। গত ১২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির জেরে ডুবতে বসেছে এ রাজ্যের একাধিক জেলা। জলাধারগুলি থেকে হু-হু করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে সেটাই। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ-সহ বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়ার একাধিক ব্লক পুরোপুরি জলের তলায়। বন্যা পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন হয়ে উঠেছে যে এ বার সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: Hooghly Flood Situation: বৃষ্টি কমলেও ডিভিসির জলে বিপর্যস্ত আরামবাগ, খানাকুল