Chandrakona School: ঝুলছে স্কুলের ছাদ, কঙ্কালসার স্কুলভবনের ‘সৎকার’ চাইছেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়া সকলেই

Chandrakona School: স্কুলের তরফে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকেই তালা পড়ে যায় পুরানো ভবনটিতে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই ভবনটি। বর্ষার মরসুম তাই যে কোনও দিন পুরানো ওই ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে।

Chandrakona School:  ঝুলছে স্কুলের ছাদ, কঙ্কালসার স্কুলভবনের 'সৎকার' চাইছেন শিক্ষক থেকে পড়ুয়া সকলেই
চন্দ্রকোণা স্কুলের ভগ্নদশা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2023 | 6:40 PM

চন্দ্রকোণা: ভেঙে ঝুলছে ছাদ। বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে স্কুল ভবন। বছরের পর বছর কেটে গেলেও বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে ওই ভবন ভেঙে ফেলা ও নতুন ভবন তৈরির আবেদন জানিয়েও কোনও সাড়া মেলেনি। পাশেই একটি মাত্র ভবনে বেঞ্চে বসিয়ে, আবার কিছু পড়ুয়াকে মেঝেতে বসিয়ে গাদাগাদি করে চলছে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস। লাটে উঠছে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। আগে সংখ্যাটা বেশি থাকলেও বর্তমানে এই স্কুলে ৩৭ জন ছাত্রছাত্রী, দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও একজন প্যারাটিচার রয়েছেন। মিডডে মিলের জন্য রয়েছেন দুজন রাঁধুনি।

জানা যায়, ১৯৫৯ সালে স্থাপিত হয় এই বাঁশদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। একটি মাত্র ভবনে চলত পঠনপাঠন। ২০০৭ সালে পাশেই তৈরি হয় নতুন একটি স্কুল ভবন। ২০১০ সালের পূর্বে পুরানো স্কুল ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয় এবং তারপর থেকেই একটু একটু করে বর্তমানে পুরো স্কুল ভবনটি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই ভবনের ভিতরে কংক্রিটের ছাদ ভেঙে ঝুলছে। দেওয়ালের ভিতরে ও বাইরে একাধিক জায়গায় বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। স্কুলের তরফে জানানো হয়, ২০১০ সাল থেকেই তালা পড়ে যায় পুরানো ভবনটিতে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ওই ভবনটি। বর্ষার মরসুম, তাই যে কোনও দিন পুরানো ওই ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রত্না কুণ্ডু সেন জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্থানীয় পৌরসভা, বিডিও, ব্লকের স্কুল পরিদর্শক থেকে DPSC তথা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিল, এই সমস্ত দফতরে একাধিক বার লিখিত আকারে আবেদন করা হয় পুরানো ভগ্নপ্রায় ভবনটি ভেঙে ফেলা এবং শ্রেণি কক্ষ বাড়ানোর জন্য। সমস্ত দফতরে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি। দ্রুত ওই ভবনটি ভেঙে ফেলে নতুন একটি ভবন তৈরির দাবি জানিয়েছেন সকলেই।

স্থানীয় কাউন্সিলর সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “আমি ৬ মাস দায়িত্বে এসেছি। তার আগে থেকেই এই সমস্যা। যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে স্কুলের সভাপতি সহ সকলকে নিয়ে স্কুল পরিদর্শককে জানিয়েছি যাতে দ্রুত ওই ভবনটি ভেঙে ফেলা হয় এবং নতুন শ্রেণিকক্ষ তৈরি করে দেওয়া হয়। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

স্কুলের এহেন সমস্যা ও বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছেন চন্দ্রকোণা-২ চক্রের স্কুল পরিদর্শক দীপাঞ্জন মণ্ডল। তিনি বলেন, “স্কুলের তরফে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছিল নতুন শ্রেণি কক্ষ তৈরির জন্য। সেইমত আমরা ভেটিং করে DPSC এবং সর্বশিক্ষা মিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর পুরানো ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্যও আমরা অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। এখনও কোনও অনুমতি মেলেনি।”