Ghatal TMC: খাস জমিতেই বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস, লক্ষ লক্ষ টাকা ‘দুর্নীতি’র পর্দাফাঁস

Ghatal TMC: এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান গায়েনের বাড়ি ছিল লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্মুখে একটি সরকারি ক্যানেল পাড়ের জায়গায়। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে শাহজাহানের। বর্তমানে শাজাহানের স্ত্রী বেলা বিবির তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন। 

Ghatal TMC: খাস জমিতেই বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস, লক্ষ লক্ষ টাকা 'দুর্নীতি'র পর্দাফাঁস
ঘাটালে খাসজমি দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2023 | 1:20 PM

ঘাটাল: এক জমি দেখানো হত। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত, সেই জমিতেই বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। লাগবে দেড় লক্ষ টাকা। এভাবে দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্যদের প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি দরিদ্র পরিবারের পাট্টা পাওয়া রেকর্ড ভুক্ত জমিও জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রতারিতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হন।  ব্লক প্রশাসনকেও  বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীনগর এলাকায়।

এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান গায়েনের বাড়ি ছিল লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্মুখে একটি সরকারি ক্যানেল পাড়ের জায়গায়। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে শাহজাহানের। বর্তমানে শাজাহানের স্ত্রী বেলা বিবির তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন।   কয়েক বছর আগে সরকারিভাবে ৫ শতক কৃষিজমি পাট্টা পেয়েছেন। সেই জায়গার রেকর্ড পর্যন্ত করে নিয়েছে শাহজাহানের পরিবার। অভিযোগ, তারপরই  সেই কৃষি জমি তাঁদের না দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক।

শুধু তাই নয় কয়েক মাস আগে সরকারি খাস জায়গায় বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। যেই ঘটনার পর থেকে অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন শাহজাহানের পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে সুবিচার চেয়ে স্থানীয় শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরও এই সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। শাহজাহানের স্ত্রীর দাবি, “সকলেই শুধু আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জমি হাতে পেলাম না।”

জমি দখলের কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনোয়ার মল্লিক। তাঁর আবার পাল্টা দাবি, “ওরা পাট্টা পেয়েছে সঠিক কথা, কিন্তু পার্টিতে আলোচনা করার পরেই ওদের জমি তুলে দেওয়া হবে।”  তবে দেড় লক্ষ টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, “আমার কাছে যে ওরা দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছে, তা কি প্রমাণ দেখাতে পারবে?”

যদিও এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উমা হাজরা বলেন, “মৌখিকভাবে বিষয়টি আমি শুনেছি। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ করলে পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।”

এ বিষয়ে চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহাদেব মল্লিকের দাবি কেউ যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন, দল তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।