Kali Puja 2023: এই কালী কারোর দক্ষিণা নেন না, পুরোহিতের ধারও ধারেন না

Kali Puja 2023: এরপর ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের কালী মূর্তি নির্মিত হয়। তৈরি করা হয় মন্দিরও। সেই মূর্তির পাশে আজও থাকেন 'ছোট মা'। সঙ্গে রাখা থাকে সেই ভাঙা হাত। জেলার একাংশের মতে এত বড় আকৃতির প্রতিমা জেলা কেন আর কোথাও নেই।খো

Kali Puja 2023: এই কালী কারোর দক্ষিণা নেন না, পুরোহিতের ধারও ধারেন না
পশ্চিম মেদিনীপুরে কালীপুজোImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2023 | 7:55 PM

ক্ষীরপাই: আর দু’দিন পর কালীপুজো। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। তবে জানেন কী এই কালীপুজোয় লাগে না কোনও পুরোহিত? চাইলে আপনিও করতে পারবেন পুজো। নৈহাটির মতো কালী প্রতিমা এখানে ‘বড়মা’ নামেই পুজিতা হন। কোথায় হয় এই পুজো?

পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড চিরকুনডাঙা এলাকা। সেখানেই রয়েছে ৪৫ ফুট উচ্চতার বিশালাকার কালী প্রতিমা যা ভক্তদের কাছে ‘বড়মা’ নামে পরিচিত। জানা গিয়েছে, এই বছর ২১ বছরে পড়বে পুজোটি। জেলা ও তার বাইরের বহু মানুষ প্রতিবছর ভিড় জমান শুধু মাত্র ভোগের খিচুড়ি ও মাতৃপ্রতিমা দর্শনের জন্য।

প্রায় বছর কুড়ি আগে শশ্মানের উপর বড়মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা শুদ্ধদেব রায়। প্রথমে মাটির চালায় প্রতিমা তৈরি করে পুজো হত। সেই কারণে নাম ছিল ‘ছোট মা’। একবার বন্যার সময় ছোটো মায়ের মাটির চালা ডুবে গিয়ে মূর্তি ভেঙে যায়। তবে পড়েছিল একটি ভাঙা হাত। এরপর ৪৫ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের কালী মূর্তি নির্মিত হয়। তৈরি করা হয় মন্দিরও। সেই মূর্তির পাশে আজও থাকেন ‘ছোট মা’। সঙ্গে রাখা থাকে সেই ভাঙা হাত। জেলার একাংশের মতে এত বড় আকৃতির প্রতিমা জেলা কেন আর কোথাও নেই।

বড় মায়ের এক হাতে রয়েছে পৃথিবী আর এক হাতে রয়েছে সাদা পায়রা। বাকি দুই হাতে কারতান ও মুন্ডচ্ছেদ। মায়ের রুদ্র রুপের পাশাপাশি, ধরিত্রীর রক্ষাকর্তা ও শান্তির বাহক হিসেবে একহাতে পৃথিবী ও অপর হাতে পায়রা রয়েছে বলে মত এলাকাবাসীর।

অমবস্যা তিথি ছাড়া বড় মায়ের মন্দিরে থাকে না কোনও পুজারি। তিথির সময় ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর মানুষ মায়ের দর্শণে আসেন। তাঁরা নিজেরাই নিজের মতো করে পুজো করেন। ভক্তদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয় মন্দিরের পুজো আর্চনার কাজ। শ্মশান কালী হলেও এই পুজোয় নেই কোনও বলি প্রথা।

জানেন কী, মন্দিরে নেই কোনও প্রণামী বাক্স। এমনকী বিজ্ঞাপন দিয়ে এও জানানো হয়েছে, আগত ভক্তরা যেন কোনও রকম দক্ষিণা না দেন। আগত এক দর্শনার্থী ছন্দা জানা বলেন, “এই প্রথম এলাম। অনেক শুনেছি এই কালীর কথা। এখানে নিজেই পুজো দিলাম।”