Medinipur: মেয়ে বিক্রির অভিযোগ, মা বললেন, ‘আটটা বাচ্চা মানুষ করব কী করে?’

Medinipur: মেদিনীপুর শহর থেকে কিছু দূরেই বর্তমানে ফুলপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিবানী সিং ও অমরনাথ সিং। এই নিয়ে অষ্টম শিশুর জন্ম দিলেন তাঁরা। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে কন্যা সন্তান প্রসব করেন শিবানী। বাড়িতেই শিশুটির জন্ম হয়েছে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।

Medinipur: মেয়ে বিক্রির অভিযোগ, মা বললেন, 'আটটা বাচ্চা মানুষ করব কী করে?'
শিবানী সিংImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 12:18 PM

মেদিনীপুর: নিজের একরত্তি সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দিলেন খোদ মা। জানালেন, তিনি মানুষ করতে পারবে না তাই দান করছেন। যদিও, ভিন্ন মত এলাকাবাসীর। তাঁদের বক্তব্য টাকার জন্যই শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মর্মস্পর্শী ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া ফুলপাহাড়ি এলাকায়।

মেদিনীপুর শহর থেকে কিছু দূরেই বর্তমানে ফুলপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা শিবানী সিং ও অমরনাথ সিং। এই নিয়ে অষ্টম শিশুর জন্ম দিলেন তাঁরা। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে কন্যা সন্তান প্রসব করেন শিবানী। বাড়িতেই শিশুটির জন্ম হয়েছে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তবে, দু থেকে তিন দিন ধরে বাচ্চাটির কোনও খোঁজ না মেলায় সন্দেহ হয়। এরপর শিবানীকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, সন্তান সঠিক হাতেই রয়েছে।

এরপরই এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, শিশুটিকে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যদিও, শিবানী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সন্তান বিক্রি করেননি। দেখভাল করতে পারবেন না। তাই পরিচিত এক দাদাকে দিয়ে দিয়েছেন। শিবানী বলেছেন, “বাচ্চা হয়ে গেছে। এখন কী করব। মেরে তো ফেলতে পারব না। ও যাতে বড় হয়, লেখাপড়া করতে পারে সেই কারণে দাদাকে দিয়ে দিয়েছি। আমি কোনও টাকা পয়সা নিইনি। আমি মানুষ করতে দিয়েছি।” অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মৌসুমী দত্ত বলেন, “ওই মহিলা এই এলাকার নন। ওর যখন সন্তান হয়েছিল তখনও দেখেছি। তারপর এলাকাবাসীর বলে যে বাচ্চাটাকে বেচে দিয়েছে।”

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রত্যেকের দাবি পুরো বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত। সিএমওএইচ  ডঃ সৌম্য শঙ্কর সরঙ্গী জানিয়েছেন, “বাচ্চা এইভাবে কাউকে দিয়ে দেওয়া যায় না। এর একটা আইনগত পদ্ধতি রয়েছে। এটা অপরাধ। যদি কেউ করে থাকেন অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” পরে এই ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে জানায়। তারা এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। জেলা চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার সন্দীপ দাস বলেন, “শালবনী থানার গোদামৌলী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশুটিকে। শারীরিক পরীক্ষার পর শিশুটিকে সরকারি হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”