Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jungle Mahal: ‘দু’একটা বন শুয়োর-খরগোশ মারি, বন্ধ করব না’, আবারও উৎসবের বলি নিরীহ পশুরা

Jungle Mahal: প্রতি বছরের মত এই বছরও মাস খানেক আগে থেকে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে শিকার বন্ধের জন্য প্রচার করা হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে।

Jungle Mahal: 'দু'একটা বন শুয়োর-খরগোশ মারি, বন্ধ করব না', আবারও উৎসবের বলি নিরীহ পশুরা
আদিবাসীদের শিকার উৎসব (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 04, 2022 | 7:39 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: কয়েক বছর আগের ঘটনা। জঙ্গলে চলছিল শিকার উৎসব। আদিবাসীদের এমন হৈচৈ-এর মধ্যেই চলে গিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রাণ। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। লাগাতার চলে প্রচার। বারবার নিষেধ করা হয় শিকার উৎসব যাতে না করা হয়। কড়া হয় পুলিশ প্রশাসন। এত কিছুর ফল কী হল? ঢাকঢোল পিটিয়ে এই প্রচারই সার! বনবিভাগ সহ সরকারের সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জঙ্গলমহলে চলল শিকার উৎসব। আর দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ ও প্রশাসন।

প্রতি বছরের মত এই বছরও মাস খানেক আগে থেকে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্তে শিকার বন্ধের জন্য প্রচার করা হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে। পিছিয়ে থাকে না জেলা পুলিশও। লিফলেট বিলি ও সচেতনতার প্রচার চালান হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পাশপাশি কড়া পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই সবই গেল জলে! অন্তত তেমনটাই বলা চলে সোমবারের ছবি দেখে। সমস্ত নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে এদিন সকাল থেকেই শিকার উৎসবে মাতলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

বনদফতরের সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেলে শিকার করা হল বন্য শুকর, খরগোশের মতো বন্যপ্রাণ। যদিও ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পুলিশ ও বন দফতরের তরফ থেকে জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি চালানো হয়। তবে নিজেদের ভীতি থেকে বেরিয়ে আসাকে কখনোই সম্ভব নয় তা কার্যত স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের তরফে। জঙ্গলমহলের শিকার উৎসব বন্ধ করা প্রশাসনের কাছে যে কড়া চ্যালেঞ্জ তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

এদিকে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সাফ বক্তব্য, ‘এই বিষয়টি আমরা বন্ধ করতে পারব না। প্রশাসন বলছে ঠিকই কিন্তু আমরা শিকার তো করছি না, জঙ্গলে যাই, পুজো করি, দু’একটা বন শুয়োর মারি।বড় শিকার করি। জঙ্গলে যাওয়া বন্ধ করতে পারব না।’ অন্যদিকে বনদফতরের এক বিট অফিসার বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছি। এক মাস ধরে প্রচার করা হয়েছে। মানুষকে বোঝান হয়েছে। এটা ওদের সংস্কৃতি। আমরা জোর করে তাই ওদের বোঝাতেও পারছি না। তবে, আমরা যাব জঙ্গলে এখনও অবধি শিকারের কোনও খবর মেলেনি।”

আরও পড়ুন: Bankura Ration Dealer: বেনিয়মের জের, এমআর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে সাসপেন্ড খাদ্য দফতরের