Medinipur Attack: দোলের পরদিনই ছাগলকে টুকরো করে রক্ত মাখল যুবক, কাটল মহারাজেরও শরীর… পিছনে কোন ‘কালাজাদু’?
Medinipur: আনন্দের কাটারির কোপ গিয়ে পরে পূর্ণের মাথায়, মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি । দৃশ্য দেখে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে পাশেই চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ধান্যগাছি এলাকায় একটি আশ্রমে প্রবেশ করেন আনন্দ।
পশ্চিম মেদিনীপুর: দোলের পরের দিনের রেশ। কাটারি হাতে এক ছাগলের ওপর অতর্কিত হামলা নেশাগ্রস্ত যুবকের। ছাগলের দেহ কেটে কেটে টুকরো করে। দৃশ্যটি দেখে ফেলেছিলেন আশ্রমের মহারাজ। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত সেই যুবক কাটারি হাতে আশ্রমের মহারাজের ওপরেও হামলা চালান। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের পাইকপাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আনন্দ কুইল্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পাইকপাড়ায় মাঠে কাজ করছিলেন চন্দ্রকোণার বকশিতলার বাসিন্দা পূর্ণ বায়েন। পূর্ণ দেখেন পাইকপাড়ার আনন্দ কুইল্যা হাতে একটি কাটারি নিয়ে হঠাৎ করেই মাঠের মধ্যে একটি ছাগলকে কুপিয়ে দেন। ছাগলটির দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। মৃত্যু হয় ছাগলটির। তারপরে আনন্দ হঠাৎ করে ধারাল কাটারি নিয়ে পূর্ণের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারণ ছাগল মারার ঘটনা দেখে ফেলে পূর্ণ।
আনন্দের কাটারির কোপ গিয়ে পরে পূর্ণের মাথায়, মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি । দৃশ্য দেখে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে পাশেই চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ধান্যগাছি এলাকায় একটি আশ্রমে প্রবেশ করেন আনন্দ। সেই আশ্রমের মহারাজের ওপরেও হামলা চালান কাটারি নিয়ে।
কাটারির কোপে আহত হন আশ্রমের মহারাজ। পরে প্রাণে বাঁচার জন্য একটি স্কুলের পাঁচিল টপকে প্রবেশ কর স্কুলের ভেতর। ঘটনায় শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে আসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পূর্ণকে ভর্তি করা হয় ঘাটাল হাসপাতালে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত ছিল। কী কারণে এই হামলা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাগলকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুনের পিছনেও কোনও তন্ত্রসাধনার বিষয় রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।