Medinipur Cultivation: যে কোনও সময়েই হতে পারে ‘হামলা’, সময়ের আগেই ধান কাটলেন চাষিরা!
Medinipur Cultivation: আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাষিরা একদিকে যেমন ধান কাটতে শুরু করেছেন, ঠিক পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের চাষিদের আরও একটি আতঙ্ক তাড়া করছে হাতির আক্রমণ ।
মেদিনীপুর: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও হাতির আক্রমণ দুই দিকের সাঁড়াশি আক্রমণে পড়েই একরকম মাঠের কাঁচা ধান কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল গ্রামের চাষিরা । বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় মিধিলি-এর প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম মেদনীপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কৃষকদের উদ্দেশ্যে । যে নির্দেশিকাই বলা হয়েছে মাঠের ফসল যাতে চাষিরা নিজে নিজে জায়গায় তুলে এনে রাখে । ধান আশি তো শতাংশ পেকে গেলেই তা যেন মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় মেশিনের সাহায্যে । পাশাপাশি বিভিন্ন সবজিরও কথা বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকাতে।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাষিরা একদিকে যেমন ধান কাটতে শুরু করেছেন, ঠিক পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের চাষিদের আরও একটি আতঙ্ক তাড়া করছে হাতির আক্রমণ । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেতনীপুর শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই জঙ্গলে অবস্থান করছে ৩০ টির মত হাতির একটি দল। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন চাষিরা । আর তাই একরকম কাঁচা ধান কেটে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের চাষিদের বক্তব্য একদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, অন্যদিকে হাতির আক্রমণ হতে পারে যে কোনও সময় আর সেই ভয়েই ধান বাড়িতে তুলে নিচ্ছেন তাঁরা।
আরও আট দশ দিন এই ধান জমিতে থাকলে সুবিধা হত, নিজেরাই বলছেন চাষিরা । কিন্তু এটাও বলছেন, যে এখন যে টুকু ধান বাড়ি নিয়ে যেতে পারছেন, আট-দশ দিন পর যে ততটা নিয়ে যেতে পারতেন, তা কে জানে! সরকারি ক্ষতিপূরণ যেটুকু পাওয়া যায়, তা খুবই যৎসামান্য, তাতে কিছুই হয় না বলে জানাচ্ছেন চাষিরা ।
এক চাষি নিজেই বললেন, “আমাদের যা পরিস্থিতি, তা আর বলার মতো নয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর কেউ চাষবাসের দিকে আসবে না। ওদের তো আমাদের দেখে আগ্রহই তৈরি হচ্ছে না।”