Bikram Adhikari: ‘প্রাণহানির আশঙ্কা করছি’, পুলিশের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছেন সাংসদ দেবের ভাই

Bikram Adhikari: কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, সাংসদের আত্মীয়ের কাছ থেকেও যদি কাটমানি নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?

Bikram Adhikari: 'প্রাণহানির আশঙ্কা করছি', পুলিশের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছেন সাংসদ দেবের ভাই
বিক্রম অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 03, 2023 | 5:14 PM

ঘাটাল : বাড়ি থেকে বেরলে কেউ গুলি করে দিতে পারে! আবার ঘরছাড়াও করে দেওয়া হতে পারে! এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূল সাংসদ দেবের জ্যাঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। মঙ্গলবারই বিক্রমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা। বুধবারই ফের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন বিক্রম। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা বিক্রম অধিকারী দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ সামনে এনেছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, সাংসদের আত্মীয়ের কাছ থেকেও যদি কাটমানি নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? আর এবার প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, শিউলি সাহা লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন, বিক্রমের মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। বিক্রমের দাবি, তাঁর নয়, আসলে মানসিক অবস্থা ভাল নয় মন্ত্রীরই। তিনি স্পষ্ট বলেন, আমি প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। তাঁর ভয়, তিনি বা তাঁর সন্তানেরা রাস্তায় বেরলে কেউ গুলি করে দিতে পারে। এমনকী ঘর ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে তাঁর।

বিক্রম আরও বলেন, ‘সত্যি কথা বলেছি বলে এরকম বলছে। মিথ্যা বললে ভাল হত। সবার কাছে প্রিয় হতাম। সবাই আমাকে বলছে, দেশে টিকতে পারবি তো?’ প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও পুলিশের কাছে যাচ্ছেন না কেন? বিক্রমের ভয়, পুলিশের কাছে গেলে শাসক দলের রোষ বাড়তে পারে আরও। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে জানাব কি না, বুঝতে পারছি না। ভয় লাগছে।’

তবে বিক্রমের এসব অভিযোগ কানে তুলছে না তৃণমূল। ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই শোনা যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের মুখে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, ‘শিউলির কাছে শুনলাম। দলের গায়ে কালি লাগানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আরও বেশি খবরে আসতে পারবে বলে এসব করছেন উনি।’

বিক্রমের দাবি, ২০১৬ সালে আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার জন্য তাঁকে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়েছিল। এই ইস্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। তবে তৃণমূল বলছে, আবাস যোজনার টাকা নির্দিষ্ট সময়েই ঢুকে গিয়েছিল বিক্রমের অ্যাকাউন্টে।