Paschim Medinipur DM: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে বিডিও-সমিতি- গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর, জেলাশাসকের নির্দেশিকায় জোর তরজা

Paschim Medinipur DM: জানা গিয়েছে, বেশ কিছুটা সময় পরে বিভিন্ন প্রকল্পগুলো রূপায়ণের সম্মতি মিলেছে কেন্দ্র থেকে। সময়ে কাজ শেষ না হলে কেন্দ্র আবার সমস্যায় ফেলতে পারে রাজ্যকে।

Paschim Medinipur DM: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে বিডিও-সমিতি- গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতর, জেলাশাসকের নির্দেশিকায় জোর তরজা
গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির অফিস খোলা রাখার নির্দেশ জেলাশাসকের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 12:36 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস ছুটির দিনেও খোলা রাখার নির্দেশ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের। ছুটির দিনেও পঞ্চায়েত অফিস খোলা রাখা আর কর্মীদের হাজিরা দিতে শনিবারই এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আচমকা রবিবার‌ও কেন হাজিরা দিতে নির্দেশ, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে কেন ছুটির দিনে খোলা থাকবে দফতর? সে ক্ষেত্রে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কিছুটা সময় পরে বিভিন্ন প্রকল্পগুলো রূপায়ণের সম্মতি মিলেছে কেন্দ্র থেকে। সময়ে কাজ শেষ না হলে কেন্দ্র আবার সমস্যায় ফেলতে পারে রাজ্যকে।

প্রকল্পের নিয়ম মানতে গেলে ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। তা না হলে জরিমানা দিতে হতে পারে রাজ্যকে। বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু এলাকার কয়েকটি কাজ শেষ করা নিয়েও টালাবাহানা রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকদেরই একাংশের ব্যাখ্যা, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রের দেওয়া অনুদানও তৎপরতার সঙ্গে খরচ করতে হবে।

জানা গিয়েছে, আবাস যোজনায় তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক স্তরের আধিকারিকরা উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই শুরু করেছে। গত ৩ নভেম্বর এক নির্দেশিকা জারি করে জেলার সমস্ত বিডিওদের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে জেলাশাসক আয়েশা রানি। নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী ও ব্লক স্তরে কোনও এক্সটেনশন অফিসার দিয়েই তথ্য যাচাই করতে হবে। বর্তমানে উপভোক্তার বাসস্থানের চেহারা ও বাসস্থানের ছবি তুলে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। সেই সব কাজের জন্য অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তাই ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২১টি ব্লক ভিত্তিক তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। কোন আধিকারিকরা তথ্য যাচাই করবেন, তারও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার মতো ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লকের ৯২ হাজার ১৫৮ জন উপভোক্তার নাম পাঠানো হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লকের পাঠানো তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২২ হাজার ৬৯৮টি নাম। বাকি ৬৯ হাজার ৪৬০টি নাম যাচাই করবেন আধিকারিকরা। সেই মতোই প্রতিনিয়ত সকাল-সকাল এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ব্লকের বিডিওরা।

এক বিডিও বলেন, “আবাস যোজনার সার্ভে চলছে। যাঁরা এই প্রকল্পের উপযুক্ত, তাঁদেরকে বাছাই করতে হচ্ছে। ব্লক জুড়ে গত শনিবার থেকে কাজ চলছে। ছুটিতেও সকাল থেকে কাজ চলছে।”