Paschim Medinuipur Heritage Building: সংস্কারের অভাব, ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিদ্য়াসাগরের ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’
Paschim Medinuipur Heritage Building: মঙ্গলবার সকালেই ভেঙে পড়া বাড়িটি পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিক তথা বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কর্মকর্তারা।
পশ্চিম মেদিনীপুর: ঠিকাদারি সংস্থার অপরিকল্পিতভাবে কাজের জন্যই সংস্কারের কাজ চলাকালীন বীরসিংহে ভেঙে গেল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বিদ্যাসাগরের দেড়শো বছরের প্রাচীন হেরিটেজ বিল্ডিং। অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিদ্যাসাগরের তৈরি প্রাচীন মাটির বাড়িটি একটি বিরাট অংশ ভেঙে পড়ায় মন ভার বীরসিংহবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে জমতে শুরু করেছে ক্ষোভ।
মঙ্গলবার সকালেই ভেঙে পড়া বাড়িটি পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিক তথা বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কর্মকর্তারা। সংস্কার চলাকালীন কীভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়া হঠাৎ ভেঙে গেল তার পূর্ণতদন্তে নেমেছেন বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়ার কারণ হিসাবে সামনে এসেছে ঠিকাদারের অপরিকল্পিতভাবে চালিয়ে যাওয়া সংস্কারের কাজ। বিদ্যাসাগরের এই হেরিটেজ বিল্ডিং সংস্কার-সহ অন্য আরেকটি নির্মাণ কাজের জন্য মোট বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। কাজের দায়িত্ব নেয় পিডব্লুউডি, প্রশাসন সূত্রে খবর, পিডব্লুউডি কাজ করার বরাত দেয় অপর এক ঠিকা কর্মীকে।
হেরিটেজ বিল্ডিংটি ভেঙে পড়ায় ঠিকাদার সংস্থার ওপর বেজায় চটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকাদার সংস্থা এই কাজের কিছুই জানে না। অপরিকল্পিতভাবে এই কাজ করছিল ঠিকাদারের কর্মীরা। এই অপরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্যই এভাবে হেরিটেজ বিল্ডিংটি হঠাৎ ধসে পড়ে।
প্রসঙ্গত, বীরসিংহকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলে বিদ্যাসাগরের সমস্ত স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বীরসিংহ গ্রামকে আস্তে আস্তে সাজিয়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার মাঝেই ভেঙে পড়ে বিদ্যাসাগরের এই প্রাচীন বাড়িটি।
২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরসিংহ গ্রামে এসে বাড়িটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তারপরেই সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল সংস্কারের কাজ। সেই বাড়িটির এক অংশ ভেঙে পড়ে। সেই ভেঙে পড়া বাড়িটি পরিদর্শনে ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক তথা বীরসিংহ ডেভলপমেন্ট অথোরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সুমন বিশ্বাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুলক প্রামাণিক, ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাস, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত রায় প্রমুখ। যদিও এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস ক্যামেরা সামনে কিছু বলতে চাননি।