কবিতা মানুষের জন্য, করোনা-শত্রু কবির দল

সকাল হোক বা রাত্রি, কড়া রোদ বা ঝড়-বৃষ্টি, খবর পাওয়া মাত্র হাজির মেদিনীপুরের তরুণ কবিরা। কেউ অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন, কেউ দেখছেন বাজার অথবা খাবারের দিকটা। আবার কেউ ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন একান্তবাসে থাকা করোনা রোগীদের।

কবিতা মানুষের জন্য, করোনা-শত্রু কবির দল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 29, 2021 | 1:49 AM

পশ্চিম মেদিনীপুর: ওঁরা ‘মেদিনীপুরের তরুণ কবিরা’। ওঁদের একটাই প্রেম কবিতা। কবিতা তো সময়ের দাবি রাখে, মানুষের কথা বলে। তাই ওরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে শহরকে সুস্থ করতে। কবিদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন বয়সের মানুষ। ওষুধ থেকে ‌অক্সিজেন, খাবার হোক বা বাজার। রোগীর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ঢেকে আনা থেকে কোভিড ওয়ার্ড দৌড়ে বেড জোগাড় করা, ওঁরা যেন চরকি পাক দিচ্ছেন শহরে। মেদিনীপুরের এই তরুণ কবিদলের দৃঢ় প্রত্যয়, শহর সুস্থ হবেই।

সকাল হোক বা রাত্রি, কড়া রোদ বা ঝড়-বৃষ্টি, খবর পাওয়া মাত্র হাজির মেদিনীপুরের তরুণ কবিরা। কেউ অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন, কেউ দেখছেন বাজার অথবা খাবারের দিকটা। আবার কেউ ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন একান্তবাসে থাকা করোনা রোগীদের। হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডেও রোগীর প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন ওঁরা। নিয়মিত চলছে আপৎকালীন বিষয়ের তথ্য আপডেট। তাছাড়া দুঃস্থদের জন্য সমস্ত পরিষেবা তাঁরা দিচ্ছেন বিনামূল্যে।

শুধু তাই নয়, জীবন মানে ওরা বোঝেন প্রাণ। সেখানে ভেদাভেদ নেই মানুষ বা পশুপাখির। ভরদুপুর বা রাতে এই লকডাউনে চলে তাদের খাওয়ানো। এভাবেই শহরকে সুস্থ করে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মেদিনীপুরের তরুণ কবিরা।

আপৎকালীন রক্তের পরিষেবাতেও হাজির হচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি ওয়েস্ট মিদনাপুর সাইক্লার্স ক্লাবের উদ্যোগে চলছে কবিতা-গানে- গল্পে রোগীদের মনোবল বাড়ানোর প্রক্রিয়া। কোভিডকে প্রতিহত করতে যাঁরা রাতদিন জেগে কাজ করছেন, তাঁদের কাছে গিয়ে করোনা বিধি মেনেই গানে গানে শুভেচ্ছা জানিয়ে চলেছেন ওঁরা। ওদের দৃঢ় বিশ্বাস কবিতা মানুষের কথা বলে। তাই সবার আগে সুস্থ রাখতে হবে মানুষকেই। শহরকে চেয়ে সুস্থ করে তুলতেই হবে। এ শহর যে তাদের প্রাণ।

আরও পড়ুন: মেয়ের পারিবারিক অশান্তি মেটাতে গিয়ে জামাইয়ের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু শ্বশুরের 

সংগঠনের তরফে অভিনন্দন মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ ভদ্র, মানোয়ারা বেগম, দেবারতি মুখার্জীরা বলছেন, করোনাকে জয় করবে মানুষ। মানুষ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোটাই লক্ষ্য। এই অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষের জয় নিশ্চিত।