Kharagpur : ফেসবুকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় মহিলা

Kharagpur : মহিলার অভিযোগ, ফেসবুকের (Facebook) মাধ্যমে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন খড়গপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষ।

Kharagpur : ফেসবুকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় মহিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2022 | 8:01 PM

খড়গপুর : কিছুদিন আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব বর্ধমানের দাইহাট পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে। তরুণী ও পুর প্রধানের কথোপকথনের অডিয়ো ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং বাইরে এসে যাওয়ায় যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতরও হয় জেলার রাজনৈতিক মহলে। যদিও সেই অডিও-ভিডিও-র সত্য়তা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। এবার খড়গপুর (Kharagpur) পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষের বিরুদ্ধে পৌরসভার এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খড়গপুর টাউন থানাতে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা।

মহিলার অভিযোগ, ফেসবুকের (Facebook) মাধ্যমে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন খড়গপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষ। মহিলার অভিযোগ প্রবীর ঘোষ ফেসবুকে তাঁকে মেসেজে লিখিছেন, ‘যা লাগবে তোমার আমি দেব টাকা পয়সা সব, খালি তোমাকে এক রাত আমাকে দিতে হবে।’ তাঁর তরফে এই মেসেজ পেয়ে ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বললে পাল্টা ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘ওই সব ভয় আমাকে দেখিও না। আমি টিএমসি কাউন্সিলর। থানার আইসি আমার হাতে। তোমার কথা মানবে না।’ ইতিমধ্যেই তাঁদের কথোপকথনের স্ক্রিনশটও পুলিশের কাছে দিয়েছেন ওই মহিলা। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। যদিও ওই স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। 

তবে এ বিষয়ে খড়গপুর পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বর্তমানে তিনি খড়গপুরে নেই। ৩ দিন পর তিনি যা বলার বলবেন। ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগকারিনী মহিলা বলেন, “প্রবীর ঘোষ আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছেন বলেই পুলিশি অভিযোগ জানিয়েছি। উনি প্রায়ই আমাকে নানারকম মজা করে কথা বলতেন। আমি শুরুতে কিছু বলতাম না। কিছুদিন আগে উনি আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করেন। বলেন একদিন ওনার সঙ্গে ঘুরতে যেতে। ওনার সঙ্গে সময় কাটাতে। বিনিময়ে উনি আমাকে টাকাও দেবেন বলেন। এরপরেও উনি আমাকে আরও নানা কুপ্রস্তাব দেন। আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি খুব সাধারণ মানুষ। কেস করতে চাইনি। কিন্তু, এখন বাধ্য হয়ে এই পথে হাঁটতে হল।” 

জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, “একজন মহিলা আমাদের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন। আমি এখন বাইরে আছি। ফিরে আমি খোঁজ নেব। মহিলা যদি আমাদের কাছে অভিযোগ জানান আমরা এ বিষয়ে সিরিয়াস স্টেপ নেব। সিরিয়াসলি ঘটনাটা দেখব খোঁজ নিয়ে। ঘটনা সত্য অসত্য যাই বের হোক, আমরা স্টেপ নেবই। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিক।”  পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “আসলে এটাই তৃণমূলের কালচার। টিভি খুললেই দিকে দিকে মহিলাদের উপর অত্যাচারের খবর চোখে পড়ে। এটা তৃণমূলের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। গোটা দেশে পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনে এগিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরও সেই দিকে চলছে।”