TMC Conflict: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের জন্ম, ওতেই শেষ হয়ে যাবে’, অঞ্চল কমিটি বিতর্কে খোঁচা বিজেপির

Paschim medinipur: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে জেলায় জেলায় ব্লক, অঞ্চল স্তরে সুসংহত করতে কমিটি ঘোষণা করছে তৃণমূল। তবে এই কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের অন্দরে দলাদলির অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

TMC Conflict: 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূলের জন্ম, ওতেই শেষ হয়ে যাবে', অঞ্চল কমিটি বিতর্কে খোঁচা বিজেপির
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2023 | 8:54 AM

মেদিনীপুর: অঞ্চল কমিটি ঘোষণা নিয়ে জেলায় জেলায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠছে। মুর্শিদাবাদের কায়দায় মেদিনীপুরেও (Medinipur) ঘোষণা হল অঞ্চল কমিটি। দুই নেতা আলাদা করে ঘোষণা করলেন অঞ্চল কমিটি। কেশিয়াড়ির বিধায়কের সঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতির মতানৈক্যের অভিযোগ প্রায় প্রায়ই শোনা যায়। সেই বিতর্কই আরও খানিকটা জোরাল হল এবার। রবিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে কেশিয়াড়ির বিধায়ক পরেশ মুর্মুকে পাশে বসিয়ে কেশিয়াড়ি ব্লকের অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। এরপরই সোমবার বিকালে তড়িঘড়ি কেশিয়াড়িতে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রীকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের ব্লক অফিস থেকে ব্লক সভাপতি শ্রীনাথ হেমব্রম অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করেন। অর্থাৎ একই অঞ্চলের জন্য পৃথক দুই কমিটি। এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ জেলায়। যদিও নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ।

জেলা তৃণমূল সভাপতির অঞ্চল কমিটি ঘোষণা, অন্যদিকে ব্লক সভাপতির অঞ্চল কমিটি ঘোষণা, আর তা নিয়েই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের বক্তব্য, “দলটা তো গোষ্ঠীকোন্দলের উপরেই আছে। দলটা তৈরিই হয়েছিল গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে দিয়ে। শুধু কেশিয়াড়ি নয়, জেলার প্রতিটা ব্লক প্রতিটা অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সর্বজনবিদিত। তাই জেলা সভাপতি বিধায়ককে পাশে বসিয়ে কমিটি ঘোষণা করছেন, পরবর্তীতে আবার ব্লক সভাপতি অঞ্চল কমিটি আবার ঘোষণা করে দিচ্ছেন। তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যেই আছে। এভাবেই শেষ হবে।”

যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীকোন্দল বলে মানতে চাননি জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁর বক্তব্য, নিজেদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি বলেন, “এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। দু’ একদিনের মধ্যেই দেখবেন সকলে মিলে একসঙ্গে বসেই সব ঠিক করে নেব। আমাদের দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও জায়গাই নেই। কারণ এখানে একটাই প্রতীক জোড়াফুল, একজনই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা অঞ্চলেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছে সোমবার।

রবিবার কাঞ্চনতলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সহ মোট ৩৫ জনের নাম ঘোষণা করেছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি। সোমবার ফের সামসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা অঞ্চলের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন ফরাক্কার বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা ঘিরে বিতর্ক বাড়ছে।