Kharagpur Municipality: তৃণমূলের যুব নেতাকে ঘাড় ধাক্কার অভিযোগ, তুমুল উত্তেজনা খড়গপুর পুরসভায়

Medinipur: সোনু সিংয়ের অভিযোগ, তাঁকে নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়। এই খবর ছড়াতেই যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা খড়গপুর পুরসভার গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং খড়গপুর কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পুরপ্রধানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন।

Kharagpur Municipality: তৃণমূলের যুব নেতাকে ঘাড় ধাক্কার অভিযোগ, তুমুল উত্তেজনা খড়গপুর পুরসভায়
খড়গপুরে উত্তেজনা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2023 | 10:02 PM

মেদিনীপুর: এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে অন্য দফতরে স্থানান্তরিত করার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম। এই ঘটনাকে সামনে রেখে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল খড়গপুরে (Kharagpur Municipality)। অভিযোগ, তৃণমূলের যুব সভাপতিকে বের করে দেওয়া হয় খড়গপুর পুরসভা থেকে। খড়গপুর শহরের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সোনু সিং। কয়েক বছর ধরে তিনি এই পুরসভার অ্যাকাউন্টসে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে কাজ করেন। অভিযোগ, আচমকাই বৃহস্পতিবার তাঁকে পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ পুরসভার অ্যাকাউন্টস বিভাগ থেকে সরিয়ে অন্য বিভাগে যাওয়ার কথা বলেন। তাতে রাজি হননি সোনু। এই ঘটনাকে সামনে রেখে তুমুল ঝামেলা শুরু হয় সেখানে বলে অভিযোগ।

সোনু সিংয়ের অভিযোগ, এরপরই তাঁকে নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে ঘাড় ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়। এই খবর ছড়াতেই যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা খড়গপুর পুরসভার গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং খড়গপুর কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পুরপ্রধানের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দুই প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার ও জহর পাল। তারপরও ঝামেলা থামেনি। উল্টে আরও ঝাঁঝ বাড়ে ঝামেলার।

সোনু সিংয়ের অভিযোগ, “আমাকে পুরসভার এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি না মানায় পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যতক্ষণ না কল্যাণী ঘোষ আমার কাছে ক্ষমা চান, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।” এ নিয়ে তৃণমূলের যুবনেত্রী প্রিয়াঙ্কা শী-এর অভিযোগ, একা সোনু সিং নন, অন্যান্য মহিলাদের কাজ করিয়ে তাঁদের টাকা দিচ্ছেন না খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান। তাই এদিন রাস্তা অবরোধ করা হল।

এ বিষয়ে খড়গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বলবেন না বলে জানান। তবে উপ পুরপ্রধান তৈমুর আলি খান বলেন, “পুরপ্রধানের ক্ষমতা রয়েছে পুরসভার কর্মীদের এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে সরানোর। ওনাকে কোনওভাবেই ঘাড় ধাক্কা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। উনি মিথ্যা কথা বলছেন।”