TMC Leader join CPM: সিপিএমের মিটিংয়ে হঠাৎই হাজির তৃণমূল নেতা, মাইক নিয়ে বললেন, ‘ওই দলে কাজ করা যায় না, লাল পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছি’

Daspur: এদিন বিকেলে দাসপুর-২ ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথে রাজার মোড়ে সিপিএমের একটি সভা ছিল। সেই সভার পরই তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন সিপিএমে যোগ দেন।

TMC Leader join CPM: সিপিএমের মিটিংয়ে হঠাৎই হাজির তৃণমূল নেতা, মাইক নিয়ে বললেন, 'ওই দলে কাজ করা যায় না, লাল পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছি'
সুভান আলির সিপিএমে যোগদান। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 01, 2022 | 9:06 PM

মেদিনীপুর: সিপিএমের সভামঞ্চে হঠাৎই হাজির তৃণমূল নেতা। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ঘোষণা করলেন, এবার থেকে তিনি লাল ঝান্ডার বাহক হবেন। সিপিএমে যোগ দিয়ে মানুষের কাজ করবেন। মেদিনীপুরের দাসপুর ২ ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথে শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী যোগ দেন সিপিএমে। এই বাজারে সিপিএমে যোগদান, নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ মানছেন বাম মনোভাবাপন্নরা। এদিন বিকেলে দাসপুর-২ ব্লকের বিষ্ণুপুর বুথে রাজার মোড়ে সিপিএমের একটি সভা ছিল। সেই সভার পরই তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন সিপিএমে যোগ দেন। যদিও এই যোগদানের পর প্রশ্ন উঠেছে সুভান আলি বলে যে ব্যক্তি নিজেকে বুথ সভাপতি বলছেন, তিনি আদৌ এই পদে ছিলেন কি না।

সুভান আলি এদিন বলেন, “আমি বুথ সভাপতি ২০১৪ থেকে। আজ পর্যন্ত ছিলাম। কিন্তু পদে থাকলেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। বাধা দিচ্ছিলেন আমাদের কর্মাধ্যক্ষ কৌসর আলি সাহেব। উনি ব্লকে খাদ্য বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ। প্রতিবাদ করলেই ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণের শিকার হচ্ছিলাম। আমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এক মাস বাড়ি থেকে বাইরে পর্যন্ত ছিলাম। মেয়ের বিয়ের প্যান্ডেল পর্যন্ত খুলতে হয়েছে। ৩০০ জনের আসার কথা সেখানে ১০ জন এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কৌসর আলি প্রশাসনকেও নিজের হাতে রেখেছেন। কাজ না করতে পেরে সিপিএমে যোগ দিলাম।”

যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেগে দল ছেড়েছেন সুভান আলি, সেই কৌসর আলির বক্তব্য, “এসব অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, মিথ্যা। আমি কোনও কাজে বাধা দিইনি। এই যে বুথ সভাপতি সম্পাদক বলে দাবি করছেন সুভান আলি, জাকির আলিরা কবে যে বুথ সভাপতি হলেন, কবে যে সম্পাদক হলেন সেটাও আমার জানা নেই। আমার ১২২ বুথের কার্তিক মণ্ডল, ১২৩ বুথের বাসুদেব মাইতি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

বিষ্ণুপুরের ১২২ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক মণ্ডলও দাবি করেন, “স্বেচ্ছায় কেউ অন্যদলে যোগ দিলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। বুথে কোনওরকম রাজনৈতিক সমস্যার কারণে যাননি। বুথে উন্নয়নে বাধা কেউ দেয় না। বরং পরামর্শ দেওয়া হয়, কোনও সমস্যা থাকলে নিজেরা যেন মিটিয়ে নেয়। উন্নয়ন হয়েছে কি না তা মানুষ জানেন।” যদিও এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা দাসপুর-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে এরকম কোনও খবর নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ করে জানছি।”

এদিকে এই ঘটনায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে সিপিএম। দাসপুর-২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক রণজির পালের বক্তব্য, তৃণমূলের সীমাহীন দুর্নীতি একদিকে, অন্যদিকে কারও হাতিয়ার সাম্প্রদায়িকতা। তাতেই তিতিবিরক্ত নেতারা এখন সিপিএমের দিকে ফিরতে চাইছেন। মানুষের জন্য লড়াই একমাত্র লাল পতাকার বাহকরাই করেন বলে দাবি করেন তিনি।