Paschim Medinipur: প্রেম করার ‘অপরাধে’ ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা স্কুল শিক্ষককে! গাছে বেঁধে বেধড়ক মার গ্রামবাসীদের
Paschim Medinipur: সালিশি সভায় ঠিক হয় শিক্ষককে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা। রাখা যাবে না সম্পর্ক। এমনকী ভিডিয়ো চালিয়ে শিক্ষকের দাদার মুখ থেকেও টাকা দেওয়ার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়।
চন্দ্রকোনা: প্রেম করার খেসারত হিসাবে দিতে হবে আট লক্ষ টাকা জরিমানা। এই দাবিতে এক শিক্ষককে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মাথা ফেটে ঝরছে রক্ত, মোটা দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হাত-পা। কিন্তু, তাতেও থামছে না উন্মত্ত জনতা। চলছে এলোপাথাড়ি মারধর। কেউ তো আবার মারতে মারতে বলছেন তোকে তো মেরেই দেব বলে ভেবেছিলাম। মারের দৃশ্য আবার ক্যামেরাবন্দিও করছেন অনেকে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যখন এ ঘটনা ঘটল তখন প্রচুর মানুষের ভিড় ওই জায়গায়। কিন্তু, কেউই ওই শিক্ষককে (School Teacher) বাঁচাতে আসেনি। এদিকে মারধরের ঘটনা ইতিমধ্যেই ক্যামেরাবন্দি হয়ে ঘোরাঘুরি করছে বহু মানুষের ফোনে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে। উল্লেখ্য, এই ভিডিয়োর TV9 বাংলা সত্যতা যাচাই করেনি।
সূত্রের খবর, শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কেশপুর থানার নেড়াদেউলের এক স্কুল শিক্ষকের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে ওই শিক্ষক বিবাহিত বলে জানা যাচ্ছে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকদিন আগে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এলে শিক্ষককে পাকড়াও করে প্রেমিকার বাড়ির লোকেরা। আসে স্থানীয় বাসিন্দারাও। কেন তাঁদের এলাকার মেয়ের সঙ্গে করবে প্রেম? এলাকার বাসিন্দারা তুলতে থাকেন প্রশ্ন। তারপরই চলে নৃশংসভাবে মারধর। মাঝে বসে সালিশি সভাও।
জানা গিয়েছে, সালিশি সভায় ঠিক হয় শিক্ষককে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা। রাখা যাবে না সম্পর্ক। এমনকী ভিডিয়ো চালিয়ে শিক্ষকের দাদার মুখ থেকেও টাকা দেওয়ার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন ওই শিক্ষক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। এদিকে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।