প্রাথমিকে নিয়োগ: কোথাও গেটে তালা, কোথাও পথে বিক্ষোভ! অব্যাহত ‘অনিয়মের’ অভিযোগ

কোথাও আবার নিয়োগপত্র না পাওয়া নিয়ে অবস্থানে বসলেন প্রার্থীরা। কোথাও আবার অভিযোগ উঠল কাউন্সেলিং না হওয়ার। সব মিলিয়ে কাউন্সেলিংয়ের দ্বিতীয় দিনও বিতর্ক অব্যাহত রইল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে।

প্রাথমিকে নিয়োগ: কোথাও গেটে তালা, কোথাও পথে বিক্ষোভ! অব্যাহত 'অনিয়মের' অভিযোগ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2021 | 12:01 AM

কলকাতা: রাজ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teachers Recruitment) কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিনও গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ উঠল সংসদের বিরুদ্ধে। কোথাও কাউন্সিলের দফতরে তালা ঝোলাল টেট উত্তীর্ণরা। কোথাও আবার নিয়োগপত্র না পাওয়া নিয়ে অবস্থানে বসলেন প্রার্থীরা। কোথাও আবার অভিযোগ উঠল কাউন্সেলিং না হওয়ার। সব মিলিয়ে কাউন্সেলিংয়ের দ্বিতীয় দিনও বিতর্ক অব্যাহত রইল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে।

এসএমএস করে যাদের ডাকা হয়েছে তাদের সবার কাউন্সিলিং জলপাইগুড়িতেই করতে হবে। এই দাবি তুলে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিল দফতরের সামনে থাকা শহরের প্রধান রাস্তা ডিবিসি রোড অবরোধ করে রেখেছিলো টেট উত্তীর্ণরা। সন্ধ্যা গড়াতেই ঐ দফতরের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, জেলার প্রায় ৬০০ টেট উত্তীর্ণদের ডাকা হলেও মাত্র ২০০ জনের কাউন্সেলিং হয়েছে। বাকিদের ফের অন্যদিন ডাকা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই আগুনে ঘি পড়ে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যতক্ষণ না তাদের কাউন্সিলিং হচ্ছে তাঁরা অবরোধ তুলবেন না।

অন্যদিকে, পরীক্ষার ফাইনাল লিস্টে নাম এলেও নিয়োগপত্র না পাওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে বালুরঘাটে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বালুরঘাট জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক হবু শিক্ষকরা। প্রথমত, জেলায় প্রাথমিক শিক্ষকের প্রায় ৫০০ টি শূন্যপদ থাকলেও ৩৫০ জনের নাম ওঠে লিস্টে। তারপর আবার কাউন্সেলিংয়ের প্রথম দিনে ১৭২ জনকে ডাকা হয়। কানাঘুষো শুরু হয়, বাকিদের কাউন্সেলিং হবে কলকাতায়। এমনকি, নিয়োগ হবে অন্য জেলায়। এই জল্পনা ছড়ানোর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন: ব্রিগেডের আগেই আব্বাসের সঙ্গে বোঝাপড়া সেরে ফেলুক কংগ্রেস, চাইছে বাম নেতৃত্ব

নিয়োগপত্র না পাওয়ার অভিযোগ তুলে পূর্ব বর্ধমানেও প্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন। এ দিন বর্ধমান কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক চত্বরে নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ চলছিল। অভিযোগ, ৭৪৫ জন প্রার্থীকে ডাকা হলেও মাত্র ১২৫ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বাকিদের জানানো হয়, যেহেতু এখনও তাঁদের এসএমএস বা ইমেল আসেনি, তাই কাউন্সিলিং হবে না। যদিও তাঁদের নাম পর্ষদের ওয়েবসাইটে এসেছিল। হবু শিক্ষকদের কর্মপ্রার্থীদের দাবি, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। এরপরই তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল এবং পরে রাত হলেও অন্য কোনও নির্দেশ আসেনি। চাকরিপ্রার্থীরাও দাবিতে অনড়।

আরও পড়ুন: ‘নবাগত’ শুভেন্দু-রাজীবই বিজেপির শক্তি, মানলেন শাহ