Jamalpur: কোর্টের মামলা সালিশি সভায় মেটানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতার? জামালপুরে বৃদ্ধ দম্পতি ঘরছাড়া

Jamalpur: বৃদ্ধ ওই দম্পতির এক ছেলে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে। বর্ধমান থানা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান ছেলের বউ। এরপরই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে দায়ের হয় মামলা। বর্ধমান সিজেএম আদালতে ওঠে মামলা।

Jamalpur: কোর্টের মামলা সালিশি সভায় মেটানোর চেষ্টা তৃণমূল নেতার? জামালপুরে বৃদ্ধ দম্পতি ঘরছাড়া
জামালপুরে বৃদ্ধ দম্পতি ঘরছাড়া।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2024 | 4:22 PM

পূর্ব বর্ধমান: চোপড়ার সালিশি সভায় ডেকে এনে তরুণ-তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারের নৃশংসতা দেখেছে বাংলা। এবার ফের সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। অভিযোগ, সালিশি সভায় না যাওয়ায় বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর এমনকী খুনের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। আদালতে বিচারাধীন থাকা মামলার বিচারের জন্য সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানে হাজির না হওয়ার চরম মাশুল গুনতে হচ্ছে বৃদ্ধ দম্পতি ও তাঁর ছেলেকে। অভিযোগের আঙুল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ওই দম্পতি ভয়ে আপাতত ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি ওই পরিবারের।

বৃদ্ধ ওই দম্পতির এক ছেলে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে। বর্ধমান থানা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান ছেলের বউ। এরপরই বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনে দায়ের হয় মামলা। বর্ধমান সিজেএম আদালতে ওঠে মামলা। এরইমধ্যে খোরপোষেরও মামলা হয় বলে খবর। সেই মামলা এখন বর্ধমান আদালতের বিচারাধীনে রয়েছে।

দম্পতির অভিযোগ, সেই মামলা আদালতের বাইরে মীমাংসা করতে চাইছেন এলাকার তৃণমূলের নেতা। সেই লক্ষ্যেই সালিশি সভা ডাকা হয়। গত ১৩ জুন তাঁদের বাড়িতে আসেন চকদিঘি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি আজাদ রহমানের লোকজন। অভিযোগ, জানিয়ে যান ১৪ জুন ‘বিচারসভা’য় হাজির হতে হবে। সেখানে না গেলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে যান নেতার অনুগামীরা বলে অভিযোগ।

সেদিই রাতেই ওই দম্পতি জামালপুর থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই রাতে লাঠিসোটা, ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে একদল যুবক চড়াও হন। তাঁরা আজাদ রহমানের লোক বলেই দাবি ওই পরিবারের। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আহত বৃদ্ধকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃদ্ধের স্ত্রীর দাবি, প্রাণে বাঁচতে ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদিপশু সব ফেলে বাড়ি ছাড়া হতে হয়েছে তাঁদের।

তবে চকদিঘি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আজাদ রহমান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাল্টা তিনি বলেন, ওই পরিবারকে তিনি চেনেন। কোনও সালিশি সভা ডাকা হয়নি। বরং তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, এই ঘটনা গ্রাম্য বিবাদের ফল। তৃণমূল নেতা বলেন, মিথ্যা তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে।

তবে বিজেপি-সিপিএম এক যোগে শাসকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। সিপিএমের মহিলা সমিতির রাজ্য কমিটির সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষাল বলেন, ওই মহিলা যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্যি মারাত্মক। বাংলায় যে আইনের শাসন নেই তা বোঝা যাচ্ছে। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, বৃদ্ধ দম্পতি ও তাঁর ছেলের উপর বর্বরোচিত হামলা, আক্রমণ ও হুমকির ঘটনাই প্রমাণ দিচ্ছে বাংলায় এখন তৃণমূলের তালিবানি শাসন চলছে।