AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bardhaman: আবাস যোজনায় বেনিয়ম বা ১০০ দিনের কাজ নয়, এবার কেন্দ্রের আরও একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল

Bardhaman: ২০১৪ সালে বর্ধমান শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কাছে বিনামূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হয় 'অম্রুত প্রকল্প'। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প এটি। বর্ধমান পুর এলাকায় প্রায় ৩১০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয় এই প্রকল্পে। যথারীতি পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ শুরু করতেই বেশ কিছুটা সময় গড়িয়ে যায়। অবশেষে প্রায় বছর খানেক পর শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ।

Bardhaman: আবাস যোজনায় বেনিয়ম বা ১০০ দিনের কাজ নয়, এবার কেন্দ্রের আরও একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল
অম্রুত প্রকল্পেও দুর্নীতি?Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2024 | 10:31 AM
Share

বর্ধমান: জল নিয়ে জলঘোলা বর্ধমান শহরে। পানীয় জল প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ‘অথৈ জলে’ প্রকল্প। পরিকল্পনার অভাবে ভুগছেন শহরবাসী। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। বস্তুত, কেন্দ্রের আবাস যোজনা প্রকল্প বা একশো দিনের কাজ নিয়ে এক গুচ্ছ বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দল বিজেপি। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধও রখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে সরব হয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার ‘অম্রুত প্রকল্পে’ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠল।

২০১৪ সালে বর্ধমান শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কাছে বিনামূল্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হয় ‘অম্রুত প্রকল্প’। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প এটি। বর্ধমান পুর এলাকায় প্রায় ৩১০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয় এই প্রকল্পে। যথারীতি পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ শুরু করতেই বেশ কিছুটা সময় গড়িয়ে যায়। অবশেষে প্রায় বছর খানেক পর শুরু হয় এই প্রকল্পের কাজ। কিন্তু এই পানীয় জল নিয়ে আসার মূল উৎসস্থল ঘিরেই শুরু হয় চাপানউতোর। কথা ছিল দামোদর থেকে এই জল নিয়ে এসে তা পরিশ্রুদ্ধ করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এই পরিকল্পনা অনুসারে জায়গাও ঠিক হয়। কিন্তু সেখানে পাইপ বসিয়ে কাজ শুরু করতে না করতেই প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শুরুতেই হোঁচট খায় জল উত্তোলন। শেষ পর্যন্ত গলসীর জুজুটি এলাকা থেকে জল তুলে তা নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, গোটা শহর জুড়ে পাইপলাইনের কাজ চলছে সেই ২০১৫ সাল থেকে। আর এই পাইপলাইনের কাজ করতে গিয়েই শহর জুড়ে সমস্ত রাস্তাকে খুঁড়ে তছনছ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রায় ৩৬ হাজার বাড়িতে এই জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরও প্রায় ৭০ হাজারের কাছাকাছি সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখানেই এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে শহরবাসীর পরিশোধিত পানীয় জল পেয়ে যাওয়ার কথা, সেই প্রকল্পের আট বছর পেরিয়ে গেলেও জল তো দূরের কথা সমস্ত বাড়িতে সংযোগ কেন দেওয়া গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বিজেপির অভিযোগ, এই প্রকল্পেও দুর্নীতি করেছে শাসকদল। যার ফলে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই বাংলায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্প তারা হতে দেবে না বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তিনি বলেন, “এই প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করেছে। প্রায় চার বছর হয়ে গিয়েছে। এই কাজ চার বছর আগে হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখনও হয়নি। পৌরসভা ভোটের আগে বাড়ি-বাড়ি কল পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু তার থেকে জল পড়ে না। মেসিন চুরি হয়ে গিয়েছে।”

সিপিএমের অভিযোগ, জল নিয়ে জলঘোলা চলছে। আট বছর ধরে কলের কানেকশন দেওয়া হচ্ছে,মিটার বসানো হচ্ছে,অথচ জল কবে পাওয়া যাবে তার কোনও সদুত্তর পুরসভার কাছে নেই। প্রকল্প শুরু হওয়ার সময় পৌরসভার জলদফতরের দ্বায়িত্বে থাকা প্রাক্তন এমসিআইসি সৈয়দ মহম্মদ সেলিম জানান,”২০১৫ সালে কাজ শুরু হয়েছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু বর্ধমান পৌরসভার বোর্ডের মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হয়ে যায়। সেকারণে কাজ বিলম্বিত হয়েছিল। তবে আবার কাজ শুরু হয়েছে।” বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার জানান, “কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে শহরের বিভিন্ন স্থানে মোট দশটি রিজার্ভার ট্যাঙ্ক করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় ট্রায়াল স্বরুপ মাটির নিচ থেকে জল তুলে বাড়িতে বাড়িতে নতুন কানেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে শহরবাসী অম্রুত প্রকল্পের জল বাড়িতে পেয়ে যাবেন।”