Burdwan Death: শৌচকর্ম করতে গিয়ে প্যানে পড়ে যায় টাকার বান্ডিল, পায়খানার চেম্বারে নেমে দাম চোকাতে হল দুই ভাইকে

Burdwan Death: বড় দাদা রূপচাঁদ শেখ বাড়িতে থাকেন। বাকি তিন ভাই সঞ্জীব শেখ, আলকাস ও আসরাফুল তিন জনে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বছর দু'য়েক আগে থেকেই ওই তিন ভাই কেরলে কাজে গিয়েছিলেন।

Burdwan Death: শৌচকর্ম করতে গিয়ে প্যানে পড়ে যায় টাকার বান্ডিল, পায়খানার চেম্বারে নেমে দাম চোকাতে হল দুই ভাইকে
পায়খানার চেম্বারে পড়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 2:42 PM

বর্ধমান: শৌচকর্মের সময় অসাবধানতাবশত পকেট থেকে পড়ে গিয়েছিল টাকার বান্ডিল। জল ঢেলে দেওয়ার পর সেই টাকা চলে যায় পায়খানার চেম্বারে। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিযায়ী শ্রমিক তাঁর দুই ভাইকে জানান। পায়খানার চেম্বারের ঢাকনা খুলে ওই টাকার বান্ডিল উদ্ধার করতে নামেন দু’জনে। মলভর্তি চেম্বারে তলিয়ে একসঙ্গে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাইয়ের এমনই মর্মান্তিক মৃত্যু হল কেরলে। মৃত দুই ভাইয়ের নাম আলকাস শেখ(৩২) ও আসরাফুল শেখ(২৯) ওরফে বচ্চন। সোমবার সন্ধ্যা এই ঘটনা ঘটেছে বলে মৃতদের পরিবারের কাছে খবর আসে।

মঙ্গলবার কেরলেই দেহ দুটির ময়নাতদন্ত করানোর পর গ্রামে আনা হবে বলে জানা যায়। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা আলকাসরা চার ভাই। তাদের বাবা আবদুল সাত্তারের বেশ কয়েকবছর আগে মৃত্যু হয়। চার ভাই-ই বিবাহিত।

বড় দাদা রূপচাঁদ শেখ বাড়িতে থাকেন। বাকি তিন ভাই সঞ্জীব শেখ, আলকাস ও আসরাফুল তিন জনে কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। বছর দু’য়েক আগে থেকেই ওই তিন ভাই কেরলে কাজে গিয়েছিলেন। মাঝে বাড়ি ফিরেছিলেন। আবার চার মাস আগে গিয়েছিলেন। কেরলের মালাপূরম জেলার ত্রিশূল এলাকায় অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গেই তাঁরা একটি ডেরায় থাকছিলেন।

সঞ্জীব জানান, সোমবার কাজ সেরে ডেরায় ফিরে আসার পর তিনি শৌচকর্ম সারতে যান। তখন আলকাস ও আসরাফুল রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সঞ্জীবের অন্তর্বাসের পকেটে ছিল ১৪৮০০ টাকা। একটি পলিথিন প্যাকেটে মোড়ানো ছিল টাকার গোছাটি। শৌচকর্ম সেরে জল ঢালার পর সঞ্জীব দেখেন তাঁর টাকার বাণ্ডিল প্যানে পড়ে গিয়েছে। বুঝতে পারেন ওই বাণ্ডিল ততক্ষণে সরাসরি চেম্বারে চলে গিয়েছে। ভাই আলকাস ও আসরাফুলকে বিষয়টি জানানোর পর তিনজন মিলে একটি শাবল এনে ওই পায়খানার চেম্বারের ঢাকনা খোলেন। তখন তাদের নজরে পড়ে পলিথিন মোড়ানো বাণ্ডিলটি ভাসছে। এরপর একটি মই এনে আলকাস প্রথমে টাকা উদ্ধার করতে নীচে নামেন। টাকার গোছা নিয়ে মই বেয়ে উঠার সময়েই তিনি হঠাৎ পড়ে তলিয়ে যান। তা দেখে আসরাফুল তৎক্ষণাৎ নীচে নেমে দাদাকে উদ্ধার করতে যান। তিনিও একইভাবে তলিয়ে যান। দুই ভাইকে ওভাবে পড়ে যেতে দেখে সঞ্জীবও নামতে যান । কিন্তু তাঁকে অন্যান্য কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ধরে আটকে দেন। ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ ও দমকলবাহিনী এসে আলকাস ও আসরাফুলকে উদ্ধার করে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে পায়খানার চেম্বারে নেমে বিষাক্ত গ্যাসের কারণেই দু’জন এভাবে জ্ঞান হারিয়ে তলিয়ে যান। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।