Purba Bardhaman: বিলাসবহুল ভলভো বাস থেকে রাস্তায় লাফ গরুর, বাসে উঠতেই চোখ কপালে উঠল এলাকাবাসীর
Purba Bardhaman: সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঝাঁ চকচকে বাস থেকে কীভাবে গরুর ডাক আসছে তা ভেবে কূলকিনারা না পেয়ে বাসটিকে আটকান সকলে। ততক্ষণে আরও একাধিক গরুর ডাক তাঁদের কানে আসতে শুরু করেছে।
মেমারি: ঝাঁ চকচকে ভলভো বাস থেকে রাস্তায় লাফ গরুর। শুনতে অবাক লাগলেও এদিন এই ছবিই দেখা গেল মেমারিতে জি টি রোডের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিলাসবহুল এই বাসের প্রতিটা জানলা রঙিন পর্দায় ঢাকা ছিল। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না কী আছে ভিতরে। কিন্তু, বাস ভর্তি ছিল গরুতে। মেমারির চকদীঘি মোড় এলাকায় বাসটি আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন ডিকির পিছন থেকে হাঠৎ একটি গরু নিচে পড়ে যাচ্ছে। ডিকিতে থাকা অন্যান্য গরুগুলিও চেঁচাতে শুরু করেছে।
এ দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঝাঁ চকচকে বাস থেকে কীভাবে গরুর ডাক আসছে তা ভেবে কূলকিনারা না পেয়ে বাসটিকে আটকান সকলে। ততক্ষণে আরও একাধিক গরুর ডাক তাঁদের কানে আসতে শুরু করেছে। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বাসের ভিতরে ঢুকতেই কপালে উঠে যায় চোখ। দেখা যায় বাসের ভিতরে নেই কোনও যাত্রী। নেই বসার জন্য কোনও সিট। উল্টে সার দিয়ে বাঁধা সারি সারি গরু। তবে কি এইভাবে নতুন কায়দায় গরু পাচার চক্র সক্রিয় হয়েছে বাংলায়। সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এই ঘটনায়।
যদিও বাসের চালক রাজু বলছেন, কাগজপত্র সবই আছে। কোনও চোরা কারবারের বিষয় নেই। বিহার থেকে পাণ্ডুয়া আনা হচ্ছিল গরুগুলিকে। একই সুর বাসের হেল্পারেরও। তিনি বলছেন বিহার থেকে আসানসোল হয়ে পাণ্ডুয়া আনা হচ্ছিল। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।