Primary Teacher Case: দাপুটে বামনেতার শিক্ষিকা মেয়েরও চাকরি বাতিল, সব শুনে এক CPM নেতার যুক্তি…

Left Leader: বীরেন বসু মল্লিক সিপিএম করতেন। বাম জমানায় কালনা জুড়েই দাপট ছিল তাঁর। সেই প্রভাব খাটিয়েই কী চাকরি পেয়েছিলেন মেয়ে বৈশাখী?

Primary Teacher Case: দাপুটে বামনেতার শিক্ষিকা মেয়েরও চাকরি বাতিল, সব শুনে এক CPM নেতার যুক্তি...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 9:33 PM

কালনা: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে বেনিময়ের অভিযোগ উঠতেই কড়া অবস্থান নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাইমারি শিক্ষক- শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করেছে আদালত। বিভিন্ন জেলাতেই ছড়িয়ে রয়েছে এই সব শিক্ষক- শিক্ষিকারা। এর মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে রয়েছেন ১৬ জন। তার মধ্যে কালনাতেই রয়েছে ৬ জন। সেই তালিকায় রয়েছে কালনার এক সময়ের দাপুটে বাম নেতা বীরেন বসু মল্লিকের মেয়ে। বীরেনের মেয়ে বৈশাখী বসু মল্লিক সরকার ২০১৮ সালে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন। কালনার ধাপাসপাড়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে তাঁর। যদিও বাড়িতে গিয়ে বৈশাখীর দেখা পাননি টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি। বীরেন বাবুও অসুস্থ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। বহুক্ষণ বাড়ির বাইরে অপেক্ষার পর দেখা মেলে বৈশাখীর স্বামীর। কিন্তু আদালতের রায়ের যুক্তি দেখিয়ে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

বীরেন বসু মল্লিক সিপিএম করতেন। বাম জমানায় কালনা জুড়েই দাপট ছিল তাঁর। সেই প্রভাব খাটিয়েই কী চাকরি পেয়েছিলেন মেয়ে বৈশাখী? তা অবশ্য জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি স্থানীয় সিপিএমও। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকারই এক সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, বিয়ে হওয়ার পর শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছেন বৈশাখী। যখন চাকরি পেয়েছেন তখন রাজ্যের শাসক তৃণমূল। এর বেশি আর কিছু বলতে রাজি হননি ওই নেতা। তবে বিজেপি বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ করেছে তৃণমূল এবং বামেদের। বিজেপি-র জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল ও সিপিএমের যে যোগসাজশ রয়েছে। বিজেপি এ কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছে। এই ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করে দিল।” শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্টের রায়কেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে শিক্ষিকার বক্তব্য জানতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল টিভি৯ বাংলার প্রতিনিধি। কিন্তু তিনি বাড়ির বাইরে আছেন বলে জানানো হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর বৈশাখীর স্বামী শুভাশিস সরকার বাড়ির বাইরে আসেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছেন, “আদালত রায় দিয়েছে। আমি কিছু বলবো না। এই বিষয়ে কোন সরকারি কাগজ আমাদের হাতে আসেনি।”