AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dr Muhammad Yunus: আজ ওপার বাংলার কুর্সিতে এপার বাংলার জামাই, কী আবদার করছেন শ্যালক?

Dr Muhammad Yunus: অনেকেই জানেন না, ড. মহম্মদ ইউনুস পশ্চিমবঙ্গের জামাই। বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি এলাকার এক বাড়িতে বড় হয়েছেন তাঁর স্ত্রী আফরোজি বেগম। আজ বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ইউনুস। তার আগে, কী বলছেন তাঁর শ্য়ালক আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া?

Dr Muhammad Yunus: আজ ওপার বাংলার কুর্সিতে এপার বাংলার জামাই, কী আবদার করছেন শ্যালক?
জামাইবাবু ইউনুসের সঙ্গে শ্যালক আসফাকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2024 | 9:10 AM
Share

বর্ধমান: বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরছেন। রাত ৮টা নাগাদ শপথ নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেই সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস। আর ওপার বাংলার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে খুশির বন্যা বইছে এপার বাংলার এক বাড়িতে। বাড়িটা বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি এলাকায়। এই বাড়ির জামাইয়ের হাতেই তো এখন নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

কে জামাই? কেন ড. মহম্মদ ইউনুস। এই বাড়িতেই তো বড় হয়েছেন তাঁর স্ত্রী, আফরোজি বেগম। এখন এই বাড়িতেই থাকেন তাঁর সম্পর্কিত শ্যালক আর তার পরিবার। শ্যালক আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউসুফের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতি বছরই বাংলাদেশে যান তাঁরা। শালা-জামাইবাবুর মধ্যে নানান বিষয়ে কথা হয়। আসফাক আরও জানিয়েছেন, তাঁদের জামাইবাবু শুটকি মাছ খেতে খুব ভালবাসেন। তবে সব খাবারই অল্প পরিমাণে খান তিনি।

সেই জামাইবাবুর কাছে শ্যালকের কী আবদার? আসফাক বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আরও মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলুন। সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। সবাই ভাল থাকুন। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সকলে মিলে মিশে থাকুন। আগে যেমন মিলেমিশে থাকতেন, সেভাবেই থাকুন। ওঁর কাছে এবং উপরওয়ালার কাছে আবেদন করব, শান্তি ফিরে আসুক।”

আর সেটা তাঁর জামাইবাবুই পারবেন বলে বিশ্বাস করেন আসফাক হোসেন। তিনি বলেছেন, “জামাইবাবু খুব ভাল মানুষ। তিনি সবসময় গরীবদের জন্য চিন্তা করেন। গরীবদের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, তার কথা চিন্তা করেন। কাজেই তিনি তো লোকের ভাল করবেনই। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্পট ভিসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা উচিত। এখান ভিসা পেতে ১৫-২০ দিন লেগে যায়। তাতে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। হয়তো কেউ অসুস্থ, দেখতে যাব বলে ঠিক করেছি। ভিসা পেতে পেতেই তিনি চলে গেলেন। দেখা করতে পারলাম না। তার বদলে, বর্ডারে যাওয়ার পর, সেখান থেকেই ভিসা করে দিলে, সুবিধা হবে।”

আসফাকের স্ত্রী, তনুজা হোসেন জানিয়েছেন, ভারতে এলে সময় পেলেই বর্ধমানে আসেন ড. মহম্মদ ইউনুস। তনুজা বলেছেন, “উনি সৎপথে আছেন বলেই তো আজ ভগবান ওঁকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। দেখবেন বাংলাদেশে খুব শিগগিরই শান্তি ফিরবে। উনি খুব চেষ্টা করবেন। উনি তো খুব ভাল মানুষ, সৎ মানুষ। বাংলাদেশের মানুষ ওঁর সঙ্গে আছে। সেই জন্যই তো তাঁকে চাইছে সবাই।”