Ketugram Murder: মাঠের মধ্যে অর্ধনগ্ন মহিলা, তাঁর অবস্থা দেখে স্তম্ভিত এলাকাবাসী

Purba bardhaman: পরিবারের অভিযোগ, ধারের টাকা ফেরত চাইলেই মহিলাকে খুন করার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চার মাস আগে চিন্তা দাস তাঁর পরিচিত অজিত নামে এক ব্যক্তিকে লোন মারফত ৬০ হাজার টাকা ধার দেন।

Ketugram Murder: মাঠের মধ্যে অর্ধনগ্ন মহিলা, তাঁর অবস্থা দেখে স্তম্ভিত এলাকাবাসী
এই মাঠে পড়েছিলেন মহিলা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2022 | 1:01 PM

কেতুগ্রাম: সকাল-সকাল প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এলাকাবাসী। তবে মাঠের কাছে থাকতেই চক্ষু-চড়কগাছ। অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় মাঠ থেকে উদ্ধার মহিলার দেহ। মৃতের নাম চিন্তা দাস (৪২)। সোমবার সকালে কেতুগ্রামের শান্তিনগর মাঠ থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে যায়। আজ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে।

পরিবারের অভিযোগ, ধারের টাকা ফেরত চাইলেই মহিলাকে খুন করার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, চার মাস আগে চিন্তা দাস তাঁর পরিচিত অজিত নামে এক ব্যক্তিকে লোন মারফত ৬০ হাজার টাকা ধার দেন।পরবর্তীতে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও অজিত সেই  টাকা ফেরত দেয়নি। এই নিয়ে গ্রামের বেশ কয়েকবার দুজনের মধ্যে বচসাও হয়।

মৃতার পরিবারের দাবি, গত রবিবার চিন্তা দাসকে সকালে ফোন করে ডাকেন অজিত। এরপর থেকে রাত অবধি কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। পরিবার রাত পর্যন্ত খোঁজ করে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, সেই টাকা পরিশোধ করা নিয়েই চিন্তা দাসকে হাত বেঁধে নৃশংসভাবে গতকাল রাতে মাঠে খুন করে অজিত।ঘটনায় কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করছে পরিবার।

এলাকাবাসী সূত্রে খবর, অজিতের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল স্বামী হারা চিন্তা দাসের। সেই কারণে তাঁকে টাকা ধার দিয়েছিল চিন্তমণি। চিন্তামণির পরিবারের এক সদস্য বলেন, “সকাল সাতটায় বেরিয়ে যায়। তারপর ওনাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। অজিত বলে একটা লোক ফোন করে ডাকে। তারপর মায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মায়ের মুখ-হাতে গামছা বাঁধা ছিল। তারপরই খুন করে।”