SSC Group D Recruitment: SSC-র বেনিয়মের তালিকায় বিধায়কের খুড়তুতো ভাইয়ের নাম! সরব বিজেপি

SSC Group D Recruitment: হাটগোবিন্দপুরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি।

SSC Group D Recruitment: SSC-র বেনিয়মের তালিকায় বিধায়কের খুড়তুতো ভাইয়ের নাম! সরব বিজেপি
আচার্য সদন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2022 | 6:27 PM

বর্ধমান : আদালতের নির্দেশে প্রকাশ করা হচ্ছে তালিকার পর তালিকা। আর সেই সব তালিকার নাম সামনে আসতেই তোলপাড় গোটা রাজ্য। কেউ বলছেন, সৎভাবে চাকরি পাওয়া সত্ত্বেও নাম উঠেছে বেনিয়মের তালিকায়, আবার কারও কারও নিয়োগে নেতা-মন্ত্রীদের প্রভাব থাকার অভিযোগ উঠছে। এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) মামলায় যে ১৬৯৮ জনের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাতে পূর্ব বর্ধমানের এক বিধায়কের ভাইয়ের নাম আছে বলে দাবি বিজেপির। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) কাদড়া অতুলকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত এক ব্যক্তির নাম রয়েছে তালিকায়। তিনি তৃণমূল বিধায়কের ভাই বলে দাবি করেছে বিজেপি। কিন্তু বিধায়ক বলছেন, ওই ব্যক্তি তাঁর নিজের ভাই নন, খুড়তুতো ভাই। আর তিনি নিয়ম মেনে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক।

যাঁরা নাম রয়েছে, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল TV9 বাংলা। হাটগোবিন্দপুরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কারও সাড়া পাওয়া যায়নি। বাড়ির বাইরে বেরোননি কেউ।

বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, যাঁরা প্রকৃত চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছেন। তারপরও সরকারের চাকরি দিতে যে অনীহা, তাতেই বোঝা গিয়েছিল, কীভাবে চাকরি চুরি করা হয়েছিল। বর্ধমানের এই ঘটনা সেরকমই একটি উদাহরণ বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে বিধায়কের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নিজের এক ভাই আছেন, যিনি রাজ্যের বাইরে থাকেন। ওই ব্যক্তি তাঁর খুড়তুতো ভাই। বিধায়ক বলেন, ‘ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই শুনেছিলাম। এর বেশি আর আমার কিছু জানা নেই।’

কারও সুপারিশপত্র নেই, কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এমন সব অভিযোগ সামনে আসার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন, সবার নাম, ঠিকানা জমা দিতে হবে। সেই তালিকা ইতিমধ্যেই ডিআই-দের পাঠানো হয়েছে।

কাদড়া অতুলকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিস্ট পেয়েছি, সেখানে নামটা দেখলাম। আমার সঙ্গে ওঁর ফোনে কোনও কথা হয়নি।’ তিনি জানান, গত শুক্রবার শেষবার স্কুলে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শনিবার সিএল নিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর স্কুলে যাননি। তবে ওই কর্মী ছেলে হিসেবে ভাল ছিলেন বলেই মন্তব্য করেছেন প্রধান শিক্ষক।