AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Katwa: ৪৪ লক্ষ মূল্যের এই নার্সারিতে ছোটে মদের ফোয়ারা, চলে নোংরা কাজকর্ম!

Katwa: প্রসঙ্গত, মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০১৯-২০ বর্ষে কাটোয়ার দাইহাটের নওয়াপাড়ায় ২০ কাঠা জমির ওপর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উন্নত মানের এই নার্সারির কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গাছের চারা উৎপন্ন শুরু হয়

Katwa: ৪৪ লক্ষ মূল্যের এই নার্সারিতে ছোটে মদের ফোয়ারা, চলে নোংরা কাজকর্ম!
৪৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নার্সারিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2023 | 7:20 AM
Share

কাটোয়া: টাকার অভাবে আস্তাকুঁড় এখন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হওয়া ৪৪ লক্ষ টাকার হাইকোপাট নার্সারি। ফল ও ফুল গাছের বদলে চর্তুদিকে ছেয়ে বন জঙ্গল ও আগাছা। রাতে সেই ঝোপের আড়ালেই চলে অসামাজিক কাজকর্ম। নিত্য সকালে  সেখানে পা রাখার দুস্কর। প্রতি পদে মিলবে মদের বোতল। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের উন্নত মানের হাইকোপাট নার্সারি।

বর্তমানে নার্সারির ২০ কাঠা জায়গা ভরে রয়েছে বন জঙ্গলে। পরে পরে নষ্ট হচ্ছে চারা তৈরির লোহার টেবিল, গাছের টব। অবহেলায় ভেঙে পড়ছে কয়েক লক্ষ টাকায় তৈরি গ্রিন হাউস, জলের পাম্প।

প্রসঙ্গত, মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০১৯-২০ বর্ষে কাটোয়ার দাইহাটের নওয়াপাড়ায় ২০ কাঠা জমির ওপর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উন্নত মানের এই নার্সারির কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন গাছের চারা উৎপন্ন শুরু হয়। কয়েক মাস পর এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে নার্সারির দ্বায়িত্ব তুলে দেয় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের অবশ্য এক্ষেত্রে সাফাই,  এই সময় থেকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দেওয়া বন্ধ করে দেয়। আর তাতেই লাটে ওঠে নার্সারি।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ও কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় গড়ে এই নার্সারি থেকে নিয়ম মতো প্রতি বছর উৎপন্ন হওয়া বিভিন্ন গাছের চারা খোলা বাজারে বিক্রি করার কথা স্বনির্ভর মহিলাদের। পাশাপাশি স্থানীয় পঞ্চায়েত বন সৃজনের জন্য চারা গাছ কিনবে এখান থেকে। কিন্তু ২০২২ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। এই নার্সারি বন্ধ হওয়ার জন্য পঞ্চায়েত অভিযোগের আঙুল তুলছে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়াকে।

পঞ্চায়েত প্রধান হারু দাস বলেন, “তিন মাস নতুন বোর্ড তৈরি হয়েছে। আগে অন্য বোর্ড ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমরা ভালোভাবে দেখভাল করতে পারছি না। এটার উন্নতির কথা ভাবা হচ্ছে।”

সুপার ভাইজার নিবাস রাজোয়ার বলেন, “NRGS এর আওতায় কাজ হচ্ছিল। কিন্তু সেই টাকা বন্ধ করে দেওয়ায় কাজ সেভাবে হচ্ছে না। এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারেরই বলে মনে হয়।”