Katwa Recless Driving: রাত বাড়লেই এই রাস্তায় বাড়ে আতঙ্ক, পিছন থেকে যেন ধাওয়া করে আসে মৃত্যুর হাতছানি!
Katwa Reckless Driving: মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে গাড়ি চালকরা। দ্রুতগতিতে এই সড়ক পথ ধরে ছুটতে থাকে ট্রাক,ডাম্পার সহ ছোট বড় গাড়ি।
কাটোয়া: অন্ধকার নামার পর থেকেই বাড়তে থাকে যানবাহনের গতি। ব্যস্ততম কাটোয়ার এসটিকেকে সড়কে বাড়তে থাকে দুর্ঘটনার প্রবণতাও। রাত যতই গভীর হয়, বেড়ে যায় পণ্যবোঝাই দূরপাল্লার গাড়ির সংখ্যাও। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে গাড়ি চালকরা। দ্রুতগতিতে এই সড়ক পথ ধরে ছুটতে থাকে ট্রাক,ডাম্পার সহ ছোট বড় গাড়ি। পুলিশকে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, রাতে এখনও পুলিশ প্রশাসনের তরফে সেভাবে নজরদারি হয়নি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, অনেকক্ষেত্রে পুলিশি নজরদারি থাকলেও তা উপেক্ষা করেই এই সড়ক ধরে দ্রুতগতিতে গাড়ি ছোটান চালকরা। আর এর ফলেই ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা লেগে থাকে হামেশাই। এই এলাকায় দুর্ঘটনার সংখ্যা নিত্য দিন বাড়ছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়েছে একাধিক জনের। তবুও এই এসটিকেকে সড়কে গভীর রাতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নজরদারিতে খামতি রয়েছে বলে অভিযোগ পথচারীদের।
সপ্তগ্রাম- ত্রিবেণী -কালনা -কাটোয়া সংযোগকারী বলেই এই রাস্তার নাম সংক্ষেপে এসটিকেকে রোড। এছাড়াও এই সড়ক ধরেই বর্ধমান,মুর্শিদাবাদ,বীরভূম ও নদিয়া জেলার একাংশের যোগ রয়েছে।পাথর, বালি, কয়লা, সিমেন্ট, কাঁচা সবজি বোঝাই গাড়ি-সহ বিভিন্ন গাড়ি প্রতিদিনই রাত্রিতে যাতায়াত করে এই রাস্তা ধরেই। চলে দূর পাল্লার ও ট্যুরিস্ট বাসও।অভিযোগ রাত্রিতে ওই সমস্ত গাড়ির চালকেরা গতির ধার ধারেন না। সমস্যায় পড়তে হয় রাতে বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষজন ও বাইক কিংবা সাইকেল আরোহীদের।পথচারীরা জানান রাত্রে বেপরোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও পুলিশি নজরদারি প্রয়োজন। না হলে লেগেই থাকবে দুর্ঘটনা।হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।
এক বাইক আরোহী বলেন, “চৌরাস্তায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা বাইক চালাই তাতেও অসুবিধা। কিন্তু সাইকেল আরোহীদের সমস্যা আরও বেশি।” আরও এক ব্যক্তি বলেন, “রাতেই সাইকেল নিয়ে কাজ সেরে ফিরি। লরিগুলো এমন করে চলে, মনে হয় সাইকেল থেকেই পড়ে যাব। সাইকেল নিয়ে যত চেপে যাই, লরি তত চেপে আসে রাস্তার ধারে। প্রশাসনেরও আরও নজর দেওয়ার প্রয়োজন।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “মোটামুটি রাত আটটার পর থেকে সমস্যা হতে শুরু করে। রাত যত বাড়তে থাকে গতির আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ঝড়ের মতো চলতে থাকে গাড়ি-লরি। সন্ধ্যার আগেই কাজ থেকে ফিরে যেতে পারলে ভাল। না হলে এই রাস্তায় রাতে বাইক-সাইকেল নিয়ে ফিরতে খুবই সমস্যা হয়। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও নজরদারি নেই।” স্থানীয়দের বক্তব্য, গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নজরদারি আরও কড়া করতে হবে। রাস্তায় স্পিড ব্রেকার ও ট্রাফিক সিগন্যাল বসাতে হবে। মদ্যপ অবস্থায় যাতে চালকরা গাড়ি না চালাতে পারেন, তার জন্য পুলিশকে আরও কড়া নজর রাখতে হবে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।