Road Accident: বাইকের পিছনে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল জিআরপি-র গাড়ি! গ্রিন করিডোর করে আনা হল কলকাতায়
Purba Bardhaman: ধাক্কা মারার পরই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন দু'জন।
কাটোয়া: তদন্তে যাওয়ার পথে বড়সড় দুর্ঘটনার শিকার জিআরপির ওসি। গ্রিন করিডোর করে তাঁকে কাটোয়া থেকে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঘটনাস্থান বনকাপাসি গ্রাম। আজ বেলা আড়াইটে নাগাদ কাটোয়া জিআরপি ওসি রিয়াজ সামিম ও আর এক সহকর্মীকে স্কুটিতে করে মঙ্গলকোটের ভালসোনা গ্রামে যাচ্ছিলেন একটি পুরনো মামলার তদন্ত করতে। হঠাৎই তার স্কুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের একটি বাইকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে-সঙ্গে পড়ে যান গাড়ি থেকে।
এরপর তাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় মানুষ ও কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ নিয়ে আসে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কাটোয়া থানার পক্ষ থেকে গ্রিন করিডোর করা হয়। এরপর এসডিপিও আইসির নেতৃত্বে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। পরে সেখান থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিক জানান তিনি ঘটনাস্থনে ছিলেন না। সেই কারণে বিশেষ কিছু বলতে পারবেন না। তবে আহত আধিকারিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে গ্রিন করিডোর করে কলকাতায় আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে নদিয়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। শবদাহ করতে যাওয়ার পথে গতি প্রাণ কাড়ে ১৮ জন মানুষের। জখম হন আরও জনা সতেরো শশ্মানযাত্রী। একে কুয়াশা তারপর অনিয়ন্ত্রিত গতি। সংঘর্ষের অভিঘাতেই মৃত্যু মিছিল।সূত্রের খবর,মদন এলাকার বাসিন্দার শিবানী মুহুরী। তার মৃত্যুর পর মৃতদেহ সৎকার করতে একটি গাড়ি প্রায় পঁয়ত্রিশ জনের যাত্রী নিয়ে নবদ্বীপ যাচ্ছিল। সেই সময় হাসখালি থানা ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই লরিতে সরাসরি ধাক্কা মারে শববাহী ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেও মৃত্যু হয় কয়েকজনের বলে জানা যায়।
ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে তিনদিন। সোমবার রাতের পর ফের মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর হাঁসখালি রাজ্য সড়কে ফুলবাড়ির দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এলেন ৪ সদস্যের বিশেষ ফরেনসিক দল।মঙ্গলবার সকালে, প্রথমে ওই সদস্যদল আসেন হাঁসখালি থানায়। সেখানে শবদাহ করতে যাওয়ার গাড়িটির ছবি সংগ্রহ করেন তাঁরা। এছাড়াও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন। দু্র্ঘটনাগ্রস্ত পাথরবোঝাই ট্রাকটিও পর্যবেক্ষণ করে ছবি তুলে অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেন ওই প্রতিনিধিরা। এরপর হাঁসখালি থানার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে বিশেষ প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থলে আসেন। ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন তাঁরা। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবার পিছু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তরফে আর্তিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: Omicron Scare: দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের পরেও ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা, মধ্যরাত থেকেই চালু নতুন নিয়ম