Mamata Banerjee: হাসিমুখে কামরা থেকে বেরলেন মমতা, পুলিশ সুপার-জেলাশাসকের হাতে দিলেন উপহার
Mamata Banerjee: ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমানের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছয় ৫ টা ১ মিনিটে। আর ট্রেন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ৫ টা ১৩ মিনিটে।
বর্ধমান: ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৫ টা ১ মিনিট। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এসে থামতেই যেন বদলে গেল বর্ধমান স্টেশনের ছবিটা। কারণ ট্রেনের কামরার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে থেকে খবর থাকায় স্টেশনে এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলার বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী। ছিলেন বর্ধমানের পুলিশ সুপার, জেলাশাসকও। আর মমতাকে দেখতে কামরার সামনে ছুটে আসেন স্টেশনে অপেক্ষারত মানুষ। ট্রেন থামার স্টেশনে ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে এলেন। হাত নাড়লেন জনতার উদ্দেশ্যে।কথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে।
ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমানের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছয় ৫ টা ১ মিনিটে। আর ট্রেন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ৫ টা ১৩ মিনিটে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ছিলেন একেবারে খোশমেজাজে। হাসিমুখে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়েও হাত নাড়েন। তিনি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের হাতে আম ভর্তি প্যাকেট তুলে দেন। পাশাপাশি তিনি দু’জনকেই দুটি তোয়ালে উপহার দেন।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, জেলার উন্নয়ন নিয়েই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে একগুচ্ছ দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাও জানিয়েছেন স্বপন দেবনাথ।
ট্রেন ঢোকার অনেক আগেই এদিন পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম কার্যত পুলিশ প্রশাসনের দখলে চলে যায়। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় স্টেশন চত্বরে। গত বুধবার মালদহ যাওয়ার পথেও বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনের কামরা থেকে বেরিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। বর্ধমানের পর বোলপুর স্টেশনেও দরজার কাছে গিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।