Migrant Labourer Death: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু, পালসিটে রাস্তার ধারে দেহ ফেলে রেখে পালাল গাড়ি
Palsit: মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরিবারে আর্থিক সমস্যার কারণে ওই যুবক ভিন রাজ্যে গিয়েছিল কাজের সন্ধানে। গুজরাতের রাজকোটে একটি সিটি গোল্ডের কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল এক বছর আগে। মৃতের দাদার অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে মালিকের কাছে টাকা চেয়ে পাচ্ছিল না ওই যুবক।
বর্ধমান: জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। আর এই নিয়েই চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের পালসিট এলাকায়। পালসিটের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে রবিবার রাতে একটি প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় ওই দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন মেমারি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার ধার থেকে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়। মৃত ওই যুবকের নাম দেবদাস মাণ্ডি। বাড়ি হুগলির মগরার দিগসুই গ্রামে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করার পর আজ সকালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উঠে আসতে শুরু করেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরিবারে আর্থিক সমস্যার কারণে ওই যুবক ভিন রাজ্যে গিয়েছিল কাজের সন্ধানে। গুজরাতের রাজকোটে একটি সিটি গোল্ডের কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল এক বছর আগে। মৃতের দাদার অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে মালিকের কাছে টাকা চেয়ে পাচ্ছিল না ওই যুবক। এমনকী ওই যুবককে ফোনও করতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ওই কারখানার মালিকের থেকে একটি ফোন আসে দেবদাসের বাড়িতে। জানানো হয়, রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় দেবদাসের। কারখানার মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি গাড়িতে করে দেবদাসের দেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু এরপর গত চারদিন ধরে দেবদাসের দাদা দেবরাজ মাণ্ডি বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। উত্তরে কখনও জানানো হয়, গাড়ি কখনও অমুক জায়গায় রয়েছে, কখনও বলা হয় গাড়ি তমুক জায়গায় রয়েছে। বার বার এভাবে মৃতের পরিবারকে ঘোরানো পচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর এরপরই রবিবার রাতে পালসিটের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, যে গাড়িটিকে করে দেহটি আসছিল, সেই গাড়িটিই জাতীয় সড়কের ধারে দেহটি ফেলে দিয়ে চম্পট দিয়েছে। এদিকে পরিবারের সন্দেহ, খুন করা হয়ে থাকতে পারে দেবদাসকে। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।