Katwa Hospital: একমাসে শুধু বিরিয়ানিতেই ৩ লক্ষ টাকা! চোখ কপালে ওঠার মতো বিল সরকারি হাসপাতালে

Katwa hospital: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতাল। সেই হাসপাতালেই কোটি টাকার ভুয়ো বিল জমা করার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।

Katwa Hospital: একমাসে শুধু বিরিয়ানিতেই ৩ লক্ষ টাকা! চোখ কপালে ওঠার মতো বিল সরকারি হাসপাতালে
কাটোয়া হাসপাতালে অদ্ভুত কাণ্ড (গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 4:55 PM

কাটোয়া: বড়সড় চক্রের প্রতারণা ফাঁস করল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের যাচাই কমিটি। ভুয়ো নথি জমা করে কোটি টাকার বিল তোলার বড়সড় চক্রের পর্যাদা ফাঁস করল কমিটি। প্রায় ১ কোটি টাকার ভুয়ো এবং অসংগতিপূর্ণ ৮১ টি বিল চিহ্নিত করার পর রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যদের রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া হাসপাতাল। সেই হাসপাতালেই কোটি টাকার ভুয়ো বিল জমা করার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। গাড়ি, গাছ, খাবার (বিরিয়ানি), আসবাব, ওষুধ সহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রের বহু বিলের কোনও সারবত্তা নেই বলে দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোগী কল্যাণ সমিতির বিশেষ যাচাই কমিটির বৈঠকে এই ভুয়ো বিল জমাকারী অভিযুক্ত ইজারাদারদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নজর কেড়েছে বিরিয়ানির বিলে। জানা গিয়েছে, এই খাবার হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী সকলের জন্যই বরাদ্দ ছিল। ইতিমধ্যেই একজন ইজারাদারকে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যক্তির নাম কিংশুক ঘোষ। তাকে নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বলেও জানা গিয়েছে। ভুয়ো নথির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও পুষ্পেন্দু মাঝি নামে অন্য এক ইজারাদার বিরিয়ানির এক মাসে তিন লক্ষ টাকার বিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিল যদি ভুয়ো হয় তাহলে কাটোয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিলে “ওয়ার্ক ডান” স্বীকৃতি দেয় কীভাবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বিরিয়ানির একটি বিল(নিজস্ব ছবি)

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘একই গাড়ি কলকাতায় গিয়েছে। বিল দেখিয়েছে দু’টো। কিছু হয়ত জেরক্স বিল দেখিয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার আগেই বিল দেখিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের জিনিস কীভাবে হয়েছে জানি না। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে।’ এই হাসপাতালের ইজারাদার বলেন, করোনার সময়ে আমায় এই কাজের বরাত দেওয়া হয়। হাসপাতালে সেই সময়ে যারা কাজে ছিলেন তাদের প্রত্যকের খাবারের বরাত আমরা নিয়েছিলাম। এখন সব মিলিয়ে তিন লক্ষ টাকা পেন্ডিং রয়েছে। যদি, কোনও গড়মিল থাকে গোটা অর্ডারটির বরাত দেওয়ার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন দেখে নেননি।’