TMC Leader: ‘কখন পাশে এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে’, কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে ছবি তৃণমূল বিধায়কের, তোলপাড় বর্ধমান

Purba Bardhaman: জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সম্পদ জুই ওরফে বাবু। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সেহারা বাজারের পাওয়ার হাউস পাড়ায়।

TMC Leader: 'কখন পাশে এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে', কুখ্যাত দুষ্কৃতীর সঙ্গে ছবি তৃণমূল বিধায়কের, তোলপাড় বর্ধমান
তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে দুষ্কৃতীর ছবি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 11:56 AM

পূর্ব বর্ধমান: তোলপাড় জেলা। পুলিশের হাতে ধরা পড়া এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক ও তৃণমূল নেতার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীর নাম সম্পদ জুই ওরফে বাবু। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার সেহারা বাজারের পাওয়ার হাউস পাড়ায়। গত মঙ্গলবার ভোররাতে বর্ধমান-অরামবাগ রোডের ফকিরপুর ঢাল এলাকায় নাকা চেকিং চলার সময়ে পাইপগান ও কার্তুজ সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বিরোধীদের দাবি, ধৃত সম্পদ জুই খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী। যদিও, বিরোধীদের এই দাবি মানতে চাননি তৃণমূল বিধায়ক।

রায়না থানার পুলিশ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ধৃতের রাজনীতির রং বিচার না করে তাঁকে ওই দিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করে। বিচারক ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, তিনি ওই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন এবং কী উদ্দেশ্যে ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাত্রিবেলা বাইরে বেরিয়েছিলেন। ধৃতের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার ফের তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে।

গোটা বিষয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “সম্পদ জুই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। এমনকী সে নিজেকে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় জাহির করত। এই সম্পদ জুইকেই রায়না থানার পুলিশ ২০১৮ সালে প্রচুর গাঁজা-সহ গ্রেফতার করেছিল। মাদক সংক্রান্ত সেই মামলায় সম্পদ জুই দীর্ঘদিন জেলও খাটে। তারপর অপকর্ম চালানোর জন্য সে তৃণমূলে ভিড়ে গিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিল সেটাও সবাই জানে। সেই সম্পদ জুই গত মঙ্গলবার রায়না থানার পুলিশের নাকা চেকিংয়ে গুলি ভর্তি পাইপগান-সহ ধরা পড়ে। সম্পদ জুই শুধু যে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি করত এমনটা নয়। সে খণ্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই সবাই জানেন। তৃণমূলের নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের সঙ্গেই দেখা যেত। সেই সব ছবি এখনও সামাজিক মাধ্যমে ঘোরাঘুরি করছে।”

অন্যদিকে, যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌরব সমাদ্দার বলেন, “আসলে এই প্রথম রাজ্যে একটা সরকার চলছে। যেটা সমাজ বিরোধী দ্বারা পরিচালিত। সেই কারণেই শাসক দলের নেতা ও বিধায়কদের কাছাকাছি এখন দুষ্কৃতী অথবা সমাজ বিরোধীরাই থাকছে। এটাই বাংলার সব থেকে বড় লজ্জা।”

বিরোধীরা এইসব অভিযোগ করলেও ছবি দেখার পর খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, “এটি সেহারা বাজারে হওয়া তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানের ছবি। তবে আমার পাশে যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি যে সম্পদ জুই তা আমি জানি না। সম্পদ জুইকে চিনিও না। অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই ব্যক্তি কখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন সেটাও আমার অজানা। ছবিটা কীভাবে ছড়িয়ে গেল সেটাই বুঝতে পারছি না।”