Murder in Purba Bardhaman: বর্ধমানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে ‘খুন’, গ্রেফতার অভিযুক্ত
Purba Bardhaman: স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অতীতে একবার তার বাবার গলাতেও কোপ মেরেছিল। তবে সেই যাত্রায় প্রাণে বেঁচেছিলেন অভিযুক্তের বাবা।
দেওয়ানদিঘি : ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল অন্য এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দাস। অভিযুক্ত ধীমান ঘোষকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট হয়। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অতীতে একবার তার বাবার গলাতেও কোপ মেরেছিল। তবে সেই যাত্রায় প্রাণে বেঁচেছিলেন অভিযুক্তের বাবা।
বর্ধমান-২ ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং দেওয়ানদিঘি থানার একেবারে কাছেই এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধীমান ঘোষ একটি ধারাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে বিশ্বজিৎ দাসকে। সজোরে কোপ বসায় গলায়। গলগল করে রক্ত বেরোতে থাকে গলা দিয়ে। সেই অবস্থাতেই কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ। চিৎকার করতে থাকে সাহায্যের জন্য। কাতর আর্তনাদ। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় আসে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ। পুলিশকর্মীরাই বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের বাড়ি বর্ধমানের বিজয়রাম এলাকায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি অতনু ঘোষাল। পাশাপাশি অন্যান্য আধিকারিকরাও সেখানে গিয়ে পৌঁছান। কীভাবে খুন হল এবং কেন খুন করা হল, সেই বিষয়গুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছিল। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে গেলে দেখতে পায়, সেখানে তাকে বাড়ির লোক তালাবন্ধ করে রেখেছিল। পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) অতনু ঘোষাল এই বিষয়ে জানান, এইভাবে আক্রমণ করার কারণ স্পষ্ট নয়। কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের পুরনো কোনও রেকর্ড আছে কি না তাও দেখা হচ্ছে।