TMC Inner Clash: তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে ফের রক্তাক্ত হল রায়না
TMC Inner Clash: আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
বর্ধমান: ফের অশান্ত পূর্ব বর্ধমানের রায়না। দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে তৃণমূল নেতার ওপর সশস্ত্র হামলা। রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধরের অভিযোগ। গুরুতর আহত হয়েছেন গোলাম মোস্তাফা মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা। তিনি ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বামদেব মণ্ডল ও এলাকার আরেক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা জেলা সভাধিপতি ও বিধায়ক শম্পা ধারার গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। মূলত প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই বিবাদ। বামদেব মণ্ডলের অভিযো, আক্রান্ত তৃণমূল নেতা মঙ্গলবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জোতসাদি আর বেলসরের মাঝে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হন।
মোস্তাফা মল্লিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে চলতে থাকে কিল, চড়, ঘুষি। লোহার রড দিয়েও পায়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় মোস্তাফাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মোস্তাফার পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। তাঁর আঘাত গুরুতর।
বামদেবের অভিযোগ, আক্রান্ত নেতা এলাকায় জনপ্রিয়। গত বিধানসভার ভোটে দলকে হারাতে চেয়ে বেশ কয়েকজন চক্রান্ত করছিল। এই এলাকায় দল বড় ব্যবধানে জেতে। তাই তাঁকে দমিয়ে দিতেই এই আক্রমণ।
যদিও দলীয় তরফে এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। বিধায়ক শম্পা ধারার সঙ্গে রাতে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও, তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দল। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফল। যিনি মার খেয়েছেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোষ্ঠীর লোক আর যাঁরা মেরেছেন তারা বিধায়কের গোষ্ঠীর লোক। রাজনীতিতে এটা কখন কাম্য নয়।”