Memari: হাজার হাজার টাকা দিয়েও চাকরি পাননি স্ত্রী, আত্মহত্যার চেষ্টা প্রতারিত যুবকের! কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত সদস্য

Memari: সূত্রের খবর, মেমারির বরোর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার হাজরা ওরফে ভোম্বল হাজরা তিনি নিজের স্ত্রীর চাকরির জন্য মনিকা রায় ও শুভঙ্কর মজুমদারকে ৫৫ হাজার টাকা দেন। অভিযোগ, টাকা দিলেও চাকরি পাননি তাঁর স্ত্রী। টাকা ফেরতও পাননি।

Memari: হাজার হাজার টাকা দিয়েও চাকরি পাননি স্ত্রী, আত্মহত্যার চেষ্টা প্রতারিত যুবকের! কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত সদস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 11:09 PM

মেমারি: বকেয়া ভাতা প্রদান, স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি সহ একাধিক দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্য়ের আশাকর্মীরা। এমতাবস্থায় এবার আশাকর্মী পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে ৫৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trnamool Congress) এক পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ, আশাকর্মীর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এলাকার এক বাসিন্দার থেকে  ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা মনিকা রায়। তিনি ছাড়াও এ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর মজুমদারের। 

সূত্রের খবর, মেমারির বরোর এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার হাজরা ওরফে ভোম্বল হাজরা তিনি নিজের স্ত্রীর চাকরির জন্য মনিকা রায় ও শুভঙ্কর মজুমদারকে ৫৫ হাজার টাকা দেন। অভিযোগ, টাকা দিলেও চাকরি পাননি তাঁর স্ত্রী। টাকা ফেরতও পাননি। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রতারিত যুবক। সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়েই তিনি ঘুষের টাকার সংস্থান করেছিলেন। কিন্তু, টাকা ফেরত না পাওয়ায় বাড়তে থাকে অবসাদ।

এদিন বিষ খাওয়ার পর ওই যুবকের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত  সদস্যা মনিকা রায়। তাঁর দাবি এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত, রাজনৈতিকভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। একই দাবি করেন তৃণমূল কর্মী শুভঙ্কর মজুমদারও। ইতিমধ্যেই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজকুমার হাজরার পরিবারের সদস্যরা। 

ঘটনা প্রসঙ্গে রাজকুমারের স্ত্রী সীমা হাজরা বলেন, “আমরা খুবই গরিব। দিন আনি দিন খাই। একদিন না কাজে গেলে আমাদের সংসার চলে না। আমাদের দুটো ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আমার স্বামীর কাছ থেকে তৃণমূল পার্টির শুভঙ্কর মজুমদার ও মণিকা রায় আমার স্বামীকে বলে তোর বউকে চাকরি করে দেব, কিন্তু ৭০ হাজার টাকা লাগবে। আমার স্বামী শেষ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকা জোগাড় করে লোন নিয়ে। আজ থেকে সাড়ে তিন মাস আগে ওই টাকা দেয়। কিন্তু ওরা আমার কোনও চাকরির ব্যবস্থা করেনি। আজ আমার স্বামী বিষ খেল।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মনিকা রায় বলেন, “আমি একটা সামান্য পঞ্চায়েত সদস্য। আমি কী ওনার চাকরি করে দিতে পারি। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”