Bhatar: বাজি ফাটোনোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্য সংঘর্ষ! গ্রেফতার সিভিক ভলেন্টিয়ার
Purba Bardhaman: চাঞ্চল্যকর বিষয় যে ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারও।
পূর্ব বর্ধমান: বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাতার (Bhatar)। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। গ্রেফতার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ সাত জন।
ঘটনাস্থান পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন গ্রাম। জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধেয় বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় ভাতার থানার পুলিশ (Bhatar police station)। পরিস্থিতি সামাল দেয় তারা।
ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাতজনকে। চাঞ্চল্যকর বিষয় যে ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারও। তাঁর নাম কৌশিক রায়। অন্যান্য অভিযুক্তরা হল চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য্য, রামকৃষ্ণ রায়, রিংকু রায়, মিলন মল্লিক, রাজু সানা ও রামকৃষ্ণ রায়। এদের প্রত্যেকের বাড়ি ভাতারের বড়বেলুন গ্রামে। ধৃতদেব শুক্রবার বর্ধমান আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, গতকাল বোমাতঙ্ক ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানে। বর্ধমান স্টেশনে (Burdwan Station) পড়ে থাকা একটি ব্যাগকে ঘিরে তৈরি হয় বোমাতঙ্ক। যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। বন্ধ করে দেওয়া হল ট্রেন (Train) চলাচল।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি পড়ে থাকা ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। বোমাতঙ্কের জেরে ১ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মানুষের হুড়োহুড়িতে টনক নড়ে পুলিশের (Burdwan Police)। বর্ধমান স্টেশনে উপস্থিত হন জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের জিআরপি অফিসের ঠিক পাশেই কালো রঙের একটি ব্যাগ দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখেন কয়েকতজন। সন্দেহ হয় স্টেশনে প্রতীক্ষারত যাত্রীদের। ছড়ায় বোমাতঙ্ক। এর মধ্যে আরপিএফের স্নিফার ডগের পাশাপাশি জেলা পুলিশের স্নিফার ডগ নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সুপার জানান, একটি কুকুর ব্যাগ শুঁকে বারুদ থাকার ইঙ্গিতও দেয়েছে। তাই আমরা ঝুঁকি না নিয়ে বোম স্কোয়াডকে খবর দিয়েছি। এখন গোটা এলাকা বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। কাউকে প্ল্যাটফর্মের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে না স্টেশনের মধ্যে। ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে চলে এসেছি আমি। আপাতত আমরা বালির বস্তা দিয়ে স্থানটিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পোর্টাবেল এক্সরে দিয়ে এখন দেখা হচ্ছে। কোনওরকম ঝুঁকি নেব না। হতে পারে সত্যিই বিস্ফোরক রয়েছে। আবার নাও থাকতে পারে। তবে আমরা কোনও ঝুঁকি নেব না।” তিনি আরও যোগ করেন, “:জেলার ডগ স্কোয়াড, আরও আরপিএফ এসেছে। একটা সাইন দেখা গিয়েছে যে ওখানে বারুদ থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাই কোনও রকম রিস্ক নিচ্ছি না।”
আরও পড়ুন: Global Hunger Index: ক্ষুধা সূচকে ‘অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি’র প্রয়োগেই পিছিয়ে ভারত: দিল্লি