Crime: বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন! জঙ্গল থেকে উদ্ধার তরুণী

Purba Bardhaman: তরুণী বর্ধমানেরই বাসিন্দা। আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তার।

Crime: বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন! জঙ্গল থেকে উদ্ধার তরুণী
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ঝুলিয়ে দিল অপরাধীরা প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2021 | 12:31 AM

পূর্ব বর্ধমান: বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে জঙ্গল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার তরুণী। এদিকে, পলাতক সেই বন্ধু। দশমীর রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য ওই তরুণীকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। খোঁজ চলছে পলাতক ব্যক্তিরও। সঙ্গে আরও অন্য কেউ ছিল কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী বর্ধমানেরই বাসিন্দা। আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তার। দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকেন তিনি। বিজয়া দশমীর বিকেলে ওই তরুণী তারই এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর এদিন সন্ধ্যায় আউশগ্রামের মলডাঙ্গা আদিবাসীপাড়ার কাছে একটি জঙ্গলে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। তারাই খবর দেন পুলিশে।

এরপর অচৈতন্য অবস্থায় থাকা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানেই ভর্তি করা হয় তাকে। যদিও রাতে তাকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিতে ও তার সঙ্গে কথা বলতে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়। সঙ্গে ছিলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। তবে এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তাই এখনই এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চান না।

অন্যদিকে, ঘটনা প্রসঙ্গে টেলিফোনে বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ওই তরুণীর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদ এলাকায়। শুক্রবার তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে বের হন। তারপর জঙ্গল থেকে তাকে বেঁহুশ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা চিকিৎসাধীন ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। যদিও তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকার জন্য তদন্ত সম্পর্কে কোনও কথা বলা যায়নি। তবে ইতিমধ্যেই তার পলাতক বন্ধুর খোঁজ শুরু করা হয়েছে। যদিও, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা বা অন্য কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানান বর্ধমানের পুলিশ সুপার।”

আরও পড়ুন: Singhu Murder: সিংঘু সীমানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আত্মসমর্পণ এক যুবকের