Kalna: পরকীয়া সন্দেহের জের! শাবল দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মসমর্পন স্বামীর

Crime: এরপর আজ ভোরে যখন স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় দীপঙ্কর শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে।

Kalna: পরকীয়া সন্দেহের জের! শাবল দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মসমর্পন স্বামীর
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পুলিশকর্মীর (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 7:54 PM

কালনা: পরকিয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনার পর ছাড় পেয়ে যায়নি অভিযুক্ত। গ্রামবাসীরা সকলে মিলে গণপ্রহার চালায় তার উপর। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তাকে।

আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কালনার ১ নম্বর ব্লকের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। অভিযুক্ত স্বামীর নাম দীপঙ্কর বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীকে সন্দেহ করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে অশান্তির মাত্রা ছাড়ায় গতকাল। এরপর আজ ভোরে যখন স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় দীপঙ্কর শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর।

এখানেই শেষ নয়। খুন করার পর গ্রামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে গিয়ে আত্মসমর্পন করে অভিযুক্ত। ঘটনার কয়েক ঘন্টার পরই বিষয়টি জানাজানি হয় এলাকায়। তখনই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসী সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়ি থেকে বের করে গণ ধোলাই দেয় তাকে।

এরপর ঘটনাস্থানে হাজির হয় বুলবুলিতলা ফাঁড়ির পুলিশ। তার হাতে তুলে দেয় অভিযুক্তকে। পরে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্যে কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কালনা থানার পুলিশ। কালনা থানার পুলিশ জানায় মৃতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, প্রেমিকার ‘ভালো ছেলের’ সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে (Gangarampur)। মৃতের নাম মামুন চৌধুরী (২৩)।

জানা গিয়েছে, বছর তেইশের মামুন চৌধুরীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগন এলাকায়। মৃত ওই যুবক পেশায় বেসরকারি নার্সিংহোমের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। পুজোর কয়েকদিন মামুন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেছিলেন। কিন্তু প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। এ নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। আর তার পরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতেই বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই যুবক।

রবিবার সকালে যুবকের দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। এদিকে এনিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় মৃতের পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাতে আঙুল উঠেছে ওই তরুণীর দিকে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মামুনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মামুনের সঙ্গে বংশীহারী এলাকার এক যুবতীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কলেজ জীবন থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। এবং সেটা পরিবারের সবাই জানতেনও। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। এর পর গত কিছু দিন আগেই মামুনের প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় বলে খবর। আর এনিয়েই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

এর পর রবিবার রাতে একাধিকবার প্রেমিকাকে ফোন করে পুরো বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। সম্পর্কে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। তবে কোনও লাভ হয়নি। অভিমানে প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন যুবক।

আরও পড়ুন: Dumdum: পুজোর চাঁদায় ‘জুলুমবাজি’, দাবি মতো টাকা না মেলায় বাড়িতে চড়াও, মারধর