Katwa: বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ই আচমকা হেঁচকি তোলে দু’দিনের ছেলে! মায়ের সামনেই মর্মান্তিক পরিণতি
Katwa: শিশুটির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের অভিযোগ, কোনওভাবে হাসপাতালের তরফে সে কথা জানানোও হচ্ছিল না তাদের। ফলে সমস্যা বাড়ছিল। রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির।
বর্ধমান: নার্সদের গাফিলতিতে দু’দিনের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। কাটোয়া হাসপাতালের (Katwa Hospital) ঘটনা। শিশু অসুস্থ হওয়ার পরও তার ঠিক মতো যত্ন করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। কাটোয়া হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।
গত ২৭ তারিখে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কাটোয়া হাসপাতলে ভর্তি হন নদিয়ার জুরানপুরের রিমি ঘোষ। ওই দিনই এক সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ সদ্যোজাতকে দুধ খাওয়ানোর সময় হেঁচকি শুরু হয়। সেইসঙ্গে ছটফট করতে থাকে শিশুটি। পিঠে নিয়ে অনেকক্ষণ দুধ নামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতেও হেঁচকি থামে না সদ্যোজাতর। পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে চেষ্টা করেন।
হেঁচকি না থামায় প্রসূতির আত্মীয়রা ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের তা জানান। কিন্তু অভিযোগ, নার্স তাতে কর্ণপাত করেননি। শিশুটিকে তাঁঁরা দেখতেও আসেননি বলে খবর। বারবারই ধমক দিয়ে পরিবারের লোকেদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিকাল নাগাদ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সদ্যোজাত শিশুটি। বিকালে ‘রাউন্ড চেক আপে’ আসেন চিকিৎসক। তিনি এসে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে এসএনসিইউ-তে স্থানান্তরিত করেন।
কিন্তু শিশুটির অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরিবারের অভিযোগ, কোনওভাবে হাসপাতালের তরফে সে কথা জানানোও হচ্ছিল না তাদের। ফলে সমস্যা বাড়ছিল। রাতে মৃত্যু হয় শিশুটির। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, সদ্যোজাতর বাবা প্রসেনজিৎ ঘোষ হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সুপারকে ফোন করেন। কিন্তু সুপারও রাতে হাসপাতালে আসতে চাননি বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় রাত নাগাদ কোন অভিযোগ হয়নি থানায়। রোগীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, “বাচ্চাটা ছটফট করছিল, বুঝতে পারছিলাম। নার্সদিদিদের অনেক ডাকাডাকি করি। ডাক্তারবাবুদের বলার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউই কর্ণপাত করেননি। সুপারকেও ফোন করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল একবার এসে দেখে যেতে পরিস্থিতি। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় তিনিও আসেননি।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সদ্যোজাতর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশিপুর থানার জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এক সপ্তাহ ধরে প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, ঠিক মতো তাঁর চিকিত্সা চলছিল না বলে অভিযোগ। শেষমেশ প্রসূতির গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়।
পরিবারের বক্তব্য, শিশুর জন্মানোর কথা প্রথমে জানানো হয়। কিন্তু তারপর হঠাত্ই জানানো হয়, সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তারপর তার মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়। চিকিৎসার গাফিলতিতেই সদ্যোজাতর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: সক্রিয় দালালচক্র! জলপাইগুড়ি মাদার চাইল্ড হাবে তুমুল উত্তেজনা